দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের আরও ৩টি কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো—কমফিট রেইনবো ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং, হবিগঞ্জ মাধবপুর সাইহাম নগরের সাইহাম কটন মিলস লিমিটেড ইউনিট ১ এবং সাইহাম কটন মিলস লিমিটেড ইউনিট ২।
শনিবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫৩–এ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃপরিবেশবান্ধব লিড সনদ পেল আরও ৪ পোশাক কারখানা
টাঙ্গাইল মির্জাপুরের কমফিট রেইনবো ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ৭৫ নম্বর নিয়ে গোল্ড সনদ এবং হবিগঞ্জ মাধবপুর সাইহামনগরের সাইহাম কটন মিলস লিমিটেড ইউনিট ১ ও ২ এই দুটি প্রতিষ্ঠান ৫৮ নম্বর নিয়ে সিলভার সনদ অর্জন করেছে।
বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২৫৩। তার মধ্যে ১০৫টি লিড প্ল্যাটিনাম সনদধারী। এ ছাড়া ১৩২টি গোল্ড, ১২টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস।
এছাড়া বিশ্বের ১০০টি পরিবেশবান্ধব সুবজ কারখানার মধ্যে ৬৮টি অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি কারখানা বাংলাদেশে। দিন যতই যাচ্ছে দেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা ততই বাড়ছে।
পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয়।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ