বাসাভাড়ার চুক্তি করার সময় যা যা মনে রাখতে হবে?

বেশিরভাগ সময়ই মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বাসা, ফ্লাট ভাড়া নেওয়ার চুক্তি হয় মৌখিকভাবে। ফলে মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়। এখন সচেতন ভাড়াটিয়া এবং বাসা মালিককরা ভাড়ার জন্য লিখিত চুক্তি করেন। যেখানে ভাড়া সম্পর্কিত যাবতীয় শর্ত ও সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ থাকে।

বাসা ভাড়ার চুক্তি করতে পারেন। চুক্তি করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। সাধারণত, চুক্তিপত্রে ভাড়ার পরিমাণ, ভাড়ার সময়কাল, পরিশোধের নিয়ম, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব, এবং উভয়পক্ষের অধিকার ও বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও, কিছু অতিরিক্ত বিষয় যোগ করা যেতে পারে, যেমন – অগ্রিম ভাড়ার পরিমাণ, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধের নিয়ম, এবং চুক্তিভঙ্গের ক্ষেত্রে করণীয় ইত্যাদি।

চুক্তি করার সময় যা যা মনে রাখতে হবে:
চুক্তিপত্রটি অবশ্যই লিখিত হতে হবে এবং উভয় পক্ষকে স্বাক্ষর করতে হবে।
চুক্তিপত্রে উল্লিখিত প্রত্যেকটি ধারা মনোযোগ সহকারে পড়ে বুঝতে হবে।
চুক্তিপত্রে উল্লেখিত তারিখ থেকে ভাড়ার মেয়াদ শুরু হবে।
ভাড়ার পরিমাণ, পরিশোধের তারিখ এবং পদ্ধতি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার উপর ন্যস্ত থাকবে, তা উল্লেখ করতে হবে।
চুক্তিভঙ্গের ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা উল্লেখ থাকতে হবে।
প্রয়োজনে একজন আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

চুক্তিপত্র তৈরির সময় যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা উচিত:
ভাড়াটিয়ার নাম, ঠিকানা, এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
বাড়ির মালিকের নাম, ঠিকানা, এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
ভাড়ার জন্য নির্ধারিত বাড়ি বা ফ্ল্যাটের বিবরণ (যেমন – ঠিকানা, কক্ষ সংখ্যা, ইত্যাদি)।
ভাড়ার পরিমাণ (মাসিক ভাড়া, অগ্রিম ভাড়া, ইত্যাদি)।
ভাড়ার মেয়াদ (কত দিনের জন্য চুক্তি করা হচ্ছে)।
পরিশোধের নিয়ম (যেমন – ব্যাংক হিসাব নম্বর, ইত্যাদি)।
বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি) পরিশোধের নিয়ম।
মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব।
চুক্তিভঙ্গের ক্ষেত্রে করণীয়।
অন্যান্য শর্তাবলী (যদি থাকে)।
এই বিষয়গুলো মনে রেখে চুক্তি করলে ভবিষ্যতে ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিক উভয়ের জন্যই সুবিধা হবে।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ