‘অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করা হবে’

দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে ইন্ধনদাতা রয়েছে জানিয়ে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন ডাইরেক্টরেট কর্নেল ইন্তেখাফ হায়দার খান বলেছেন, ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কর্নেল ইন্তেখাফ হায়দার খান।

সব ঘটনার প্রতিবাদ সহিংসভাবে করতে হবে, তা নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পেছনে যারা ইন্ধন যুগিয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করা হবে।

তিনি জানান, গত ১৩ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ এক হাজার ৩২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। তাছাড়া, গত দুই সপ্তাহে ২৪টি অস্ত্র ও ৩৬৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর মোট ১২৩ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

তি‌নি আ‌রও জানান, চট্রগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে শান্তিতে রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। কুকি চিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির ১৭৯ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে ৭ জন সেনাসদস্য নিহত হওয়ার কথাও জানান তি‌নি।

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের দিক-নির্দেশনাকে অনুসরণ করে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এই সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারাবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।