বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সের বেশ পরিচিত মুখ আব্দুল খালেক। সাবেক ক্রীড়াবিদ, কোচ ও বিকেএসপির উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা খালেক আজ সকালে রাজধানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ক্রীড়াঙ্গনে পুরোনা ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর রাখা অনেকটাই নেশা সিনিয়র ক্রীড়া সংগঠক ইউসুফ আলীর। আব্দুল খালেকের মৃত্যুতে অত্যন্ত ব্যথিত কণ্ঠে বলেন,‘অ্যাথলেটিক্সই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। সারা জীবন অ্যাথলেটিক্সের পেছনেই ব্যয় করেছেন। এমন নিবেদিতপ্রাণ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব খুব কমই রয়েছে বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সে।’
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক অ্যাথলেট শামীমা সাত্তার মিমোর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন খালেক। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন,‘খালেক ভাই নিজে হার্ডলার ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে তার পদক রয়েছে। পরবর্তীতে বিটিএমসির কোচ ছিলেন। এরপর বিকেএসপিতে কর্মজীবন শেষ করেছেন। অত্যন্ত অমায়িক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।’
খালেকের পরিবার প্রায় পুরোটাই ক্রীড়াঙ্গনের। খালেকের অন্য দুই ভাই তালেব ও নাইম দুই জনই অ্যাথলেটিক্স করতেন। খালেকের স্ত্রী মালা চৌধুরিও ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত। গত কয়েক বছর যাবৎ শারীরিক অসুস্থায় ভুগছিলেন। খালেকের মতো ব্যক্তিত্ব ক্রীড়া পুরস্কার না পাওয়ায় আফসোস ঝরল মিমোর কন্ঠে,‘অনেক খেলোয়াড় তার হাতে তৈরি হয়েছে বিটিএমসি এবং বিকেএসপিতে। খালেক ভাই অ্যাথলেটিক্সে অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিলেন।’
আব্দুল খালেকের প্রথম জানাজা আজ সকালে সিএমএইচ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিজ জেলা মুন্সিগঞ্জে আরেকটি হবে। কৃতি অ্যাথলেট ব্যক্তিত্বের প্রয়াণে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন শোক প্রকাশ করেছে।