আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি‘ গানের সুরকার শহীদ আলতাফ মাহমুদ চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে গণসংগীত শিল্পী, চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক, অনন্য নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এই মহান ব্যক্তির স্মৃতি রক্ষার্থে ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মঞ্চে শহীদ আলতাফ মাহমুদের ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও ‘আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যানিকেতন’-এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহীদ আলতাফ মাহমুদের স্মৃতি বিজড়িত সংগঠন “শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যানিকেতন” এর জন্য জমি বরাদ্দ ও স্থায়ী ভবন নির্মানের দাবী তুলে ধরা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রি পরিষদ সচিব ও বাংলাদেশ গৃহনির্মাণ ঋণদান সংস্থার পরিচালনার পর্ষদের চেয়ারম্যান এ, এস, এম আবদুল হালিম, সাবেক সচিব হুমায়ুন খালিদ এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মু. হাফিজুর রহমান ময়না, সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান নাসিম, নজরুল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মিন্টু রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সচিব আবদুস সামাদ ফারুক।
দেশের স্বনামধন্য ১৪জন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট গুণীজন হচ্ছেন- নৃত্য শিল্পী আমানুল হক, সংগীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমান, চিত্র শিল্পী রফিকুন নবী, সংগীত শিল্পী ও শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রূপা ফরহাদ, সংগীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন, সংগীত শিল্পী হায়দার আলি, নজরুল সংগীত শিল্পী সোহরাব হোসেন, রনীন্দ্র ও গণসংগীত শিল্পী কলিম শরাফী, চিত্র পরিচালক, গীতিকার খান আতাউর রহমান, কবি ও সাহিত্যিক শামসুর রহমান, মরমী শিল্পী পল্লীগীতি স¤্রাট আবদুল আলীম, উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী ওস্তাদ আখতার সাদমানী, সংগীত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম, সংগীত শিল্পী দীনু বিল্লাহ। মরণোত্তর সম্মাননা প্রাপ্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।