আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি, এখনও চড়া আদা-রসুনের দাম

কুড়িগ্রামের বাজারগুলোতে আলু ও পেঁয়াজের দামে ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। শীতকালীন সবজির সঙ্গে এই দুই নিত্যপণ্যের দাম কমে নাগালের মধ্যে এসেছে। তবে আদা ও রসুনের দাম এখনও চড়া। জেলা শহরের একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কুড়িগ্রাম শহরের জিয়া বাজারের পাইকারি আড়তগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা দরে। আর ঝাঁজ কমে প্রতি কেজি পেঁয়াজের পাইকারি দাম নেমেছে ৩৬ টাকায়। গত তিন দিন আগেও যা ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

পাইকারি ব্যবসায়ী রতন মিয়া বলেন, তিন দিন আগেও পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫০ টাকা। এখন কমে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মৌসুম হওয়ায় সামনে আরও দরপতন ঘটতে পারে।

মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে আলুর দামের ঊর্ধ্বমুখী নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি ও ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও এখন স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিক্রেতারা বলছেন, দিন দিন আলুর দাম আরও কমে আসবে।

আলুর পাইকারি বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম বলেন, খেত থেকে নতুন আলু উঠছে। আমদানি বাড়ার কারণে আলুর দাম দিন দিন কমে যাচ্ছে। আবার বেশি শীত হলে সেদিন মানুষ বাজারে কম আসে। তখন দাম আরও একটু কমে যায়।

পাইকারি ও খুচরা বাজারে আলুর দামে কেজিতে পার্থক্য দেখা যায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আগামীতে দাম আরও কমার আভাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আলু নিয়ে আপাতত ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্তির অবসান হচ্ছে।

সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ বলছেন, তাদের নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় আলু ও পেঁয়াজ থাকেই। দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসায় তারা সন্তুষ্ট। সবসময় এমন দামের মধ্যে থাকলে তাদের হাহাকার থাকে না। আয়ের সঙ্গে মিলিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।

শহরের ভ্যানচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আলু-পেঁয়াজের দাম এমন থাকলে ভালো। কিন্তু যখন বাড়ে তখন আমাদের পরিবার নিয়ে জীবন চলা কষ্টের হয়া যায়। সরকার আগে থাকি ব্যবস্থা নিলে আমাদের মতো দিন আনি দিন খাওয়া মানুষের কষ্ট হয় না।’

দোকান শ্রমিক আফজাল হোসেন বলেন, সবজির দাম আগের চেয়ে কমছে। আলু-পেঁয়াজের দামও কম। আরও কমলে মানুষ খুশি হবে। কিন্তু দামটা যেন আর না বাড়ে।

এদিকে রসুন আর আদার দাম নিম্নমুখী হলেও এখনও সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়সীমার বাইরে রয়েছে। গত তিন দিনে রসুনের পাইকারি দাম প্রতি পাল্লায় (৫ কেজি) ৩০ টাকা কমে ১ হাজার ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কেজি প্রতি ২১৬ টাকা কম। তবে আদার পাইকারি দাম অপরিবর্তিত থেকে প্রতি কেজি ৯৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

জিয়া বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম ও জুয়েল বলেন, রসুনের দাম কিছুটা কমেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতি পাল্লায় ৩০ টাকা কমেছে। কিন্তু আদার দাম কয়েক সপ্তাহজুড়ে একই আছে।

তবে খুচরা বাজারে দামের কিছুটা হেরফের রয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে জানা গেছে, আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, এলসি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।