করিডর স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকিতে ফেলবে: নুর

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জাতিসংঘের আহ্বানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করিডর সুবিধা দিলে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকিতে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে গণঅধিকার পরিষদে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

এসময় নুরুর হক নুর বলেন, শুরুর দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রতি যে সর্বদলীয় সমর্থন গড়ে উঠেছিল তা এখন শঙ্কায় পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশকে ফিলিস্তিন বানাতে চায় কি না তা নিয়েও নানা দল শঙ্কায় রয়েছে। আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই তারা করিডর দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকিতে ফেলে ঐখানে একটি সামরিক জোন তৈরি করে দেশকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকার যদি এই করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে গণ অধিকার রাজপথে নামবে।

ছাত্র উপদেষ্টাদের নিয়ে বলেন, তিনজন ছাত্র উপদেষ্টা আছে সরকারে, সেখান নাহিদ বের হয়ে তারা এনসিপি গঠন করেছে। এই সরকারের যাওয়ার আগে তাদের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব ছিল আহতদের চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু আমরা দেখিনাই, এখন দেখি রাজপথে সমাবেশ করে নানা বক্তব্য দেয়। তারা সরকারে থাকতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে নাই কেন।

তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন ছাত্রলীগের মার খেয়েছি, ততদিন তথাকথিত মাস্টারমাইন্ডদের রাজপথেও দেখি নাই।

গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য নূরে এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, গণঅভ্যুত্থানের স্বপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গণ অধিকার পরিষদ। আগামী দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ভিপি নির এই কারণে দূরদর্শী নেতা তিনি ১ আগস্ট বলেছিলেন, আর মাত্র ১০% ধাক্কা দিলেই সরকার পতন হবে, ৯০ ভাগ পতন হয়ে গেছে। আর তার কথা মতো ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়।

গণ অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলন না হলে ২০২৪ সালে একটি সফল গণঅভ্যুত্থান হতো না। এ দেশের মানুষ পুরাতন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত থেকে মুক্তি পেতে চায়। এই নতুন বন্দোবস্ত গণঅধিকার পরিষদ। আজকে একজন কৃষকের ছেলেও এমপি নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৩ দালের আগে কোনো দলের বাইরে কেউ এলেকশন করবে এমন চিন্তাও করতে পারেনি। পুরাতন রাজনৈতিক দল নতুন বন্দোবস্ত তারা মেনে নিতে পারেনি।

আরো বক্তব্য রাখেন, মুখপাত্র হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজোর মুর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নেওয়াজ খান বাপ্পি, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি( বিএলডিপি) ও মওলানা ভাসানী অনুসারী পরিষদের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।