কারাগারে হামলার শিকার হয়েছেন রাজশাহী–৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, সন্ধ্যার দিকে সাবেক এমপি এনামুল হককে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন কারা পুলিশ সদস্যরা। এসময় তার কপালে ক্ষত পাওয়া যাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে সেলাই লাগেনি। চিকিৎসা শেষে জরুরি বিভাগ থেকেই তাকে ফের কারা পুলিশ সদস্যরা নিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) রত্না রায়ের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাবেক এমপি এনামুল হক অসুস্থ বলে শুনেছি। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে মারধর করা হয়েছে কি না জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া লাগবে।
তবে রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক কাজল নন্দী জানান, সন্ধ্যার সাবেক এমপি এনামুল হককে কারাগার থেকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন তিনি জানিয়েছেন, কারাগারের ভেতরে তার ওপর কয়েকজন কয়েদি হামলা করেন। তখন ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে তার মাথায় জখম হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এনামুল হক। পরে ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আদাবরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
বাগমারায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক হাদিউজ্জামান।
এনামুল হক রাজশাহী-৪ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।