অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের টিমও গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে আজই একটি কমিটি করা হয়েছে।
গত ১৫ বছর আলোচিত ও প্রভাবশালী এই কর্মকর্তাকে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরদিন অর্থাৎ ৬ আগস্ট চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জিয়াউল আহসান সর্বশেষ টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন।
গুম-খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়াসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ফোনকলে আড়িপাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড ফাঁস করা সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত জিয়াউল আহসান, তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন গত ১৯ আগস্ট স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় জিয়াউল আহসানসহ ৭ জনকে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে। তারা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন।