আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে অসংখ্য বৈচিত্র্য রেখেছেন। কাউকে ধনী বানিয়েছেন, কাউকে গরিব। তবে সব মানুষই সচ্ছল ও ধনী হওয়ার আকঙ্খা রাখে। দারিদ্রতা কেউ পছন্দ করে না। ইসলামও সবাইকে আয়-রোজগার করে সচ্ছল হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেয়।
তবে আল্লাহর ইচ্ছায় কেউ গরিব থেকে গেলে বা বেশি সম্পদের মালিক না হলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি ভালো-মন্দ (উভয় অবস্থা) দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করে থাকি, আমার কাছেই তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।’ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত : ৩৫)
অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর আল্লাহ যদি তাঁর সব বান্দাকে জীবনোপকরণের প্রাচুর্য দিতেন, তাহলে তারা পৃথিবীতে অবশ্যই বিপর্যয় সৃষ্টি করত, কিন্তু তিনি তাঁর ইচ্ছামতো সঠিক পরিমাণেই দিয়ে থাকেন। তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল, সম্যক দ্রষ্টা। (সূরা আশ-শুরা, আয়াত : ২৭)
ধন-সম্পদ দেওয়া অথবা দরিদ্র বানানো একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাধীন। তবে আলেমরা বলেছেন, এমন ১৫টি কাজ আছে, যেগুলো করলে মানুষ সাধারণত গরিব বা দরিদ্র হয়ে যায়। এগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি। এখানে এমন কিছু কারণ তুলে ধরা হলো—
এক. জুতা পরে দাঁড়িয়ে পানাহার করা।
দুই. হাত না ধুয়ে এবং বিসমিল্লাহ না বলে খাবার খাওয়া।
তিন. খাবারের পাত্র পরিষ্কার না করা।
চার. মসজিদে দুনিয়াবী কথাবার্তা বলা।
পাঁচ. ভিক্ষুককে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া।
ছয়. মাগরিবের নামাজ আদায়ের পর বিনা প্রয়োজনে শুয়ে থাকা।
সাত. বিনা প্রয়োজনে নামাজ কাজা করা।
আট. মিথ্যা কথাবার্তা বলা।
নয়. গান-বাজনা শোনা।
দশ. সন্তান-সন্ততিকে গালি-গালাজ করা।
এগারো. অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা।
বারো. গাইরে-মাহরামকে দেখা।
তেরো. পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে অনর্থক ঝগড়াঝাটি করা।
চৌদ্দ. নগ্ন মাথায় বাথরুমে প্রবেশ করা।
পনেরো. মেহমানকে বোঝা মনে করা।
(খুতবাতে জুলফিকার :৩০/১৭০)
লেখক : মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল