আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে গতকাল সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ দল। তবে এদিন টাইগার একাদশে মোস্ট সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একে একে বিদায় নিতে শুরু করেছেন দেশের সব সিনিয়র ক্রিকেটাররা। তবে সময় এসেছে সিনিয়রদের উপর থেকে আগের মতো নির্ভরশীলতা কমানোর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বহুল কথিত পঞ্চপান্ডবের অধ্যায় পেরিয়েছে আরও আগেই। মাশরাফি বিন মুর্তজার পর সেই দলে নাম লেখাতে চলেছেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমরা। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুই ফরম্যাট ও মুশফিক টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন। তামিম ইকবাল থেকেও নেই। তবে ২০০৬ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশ সাকিব-তামিম-মুশফিককে ছাড়া কোনো ওয়ানডে খেলতে নেমেছে।
ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এ নিয়ে বলেন, ‘আপনি যেটা বললেন সিনিয়র প্লেয়াররা নাই, আস্তে আস্তে আমাদের এখন এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কারণ সবসময় তারা খেলবেন না। তারা থাকলে তো ড্রেসিংরুমে ভেতরে বাড়তি সুবিধা হয়ই, অনেক অভিজ্ঞ। তবে এমন না যে তাদের নিয়েই সবসময় খেলতে হবে। এখন আস্তে আস্তে সময় হচ্ছে যে আমরা যারা আছি তারাও দলে অবদান রাখতে পারছি কিনা।’
শান্ত বললেন ফলাফলের থেকে প্রসেস গুরুত্বপূর্ণ, ‘আসলে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফলাফল নিয়ে চিন্তা না করে যদি প্রসেসটা ফলো করি, বিশ্বাস করি যে প্ল্যান করেছি, একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করি, তাহলে সিরিজ জেতা সম্ভব। আমি আসলে ফলাফলে বিশ্বাস করি না, প্রসেস যদি ঠিক থাকে প্লেয়াররা যদি ১০০% মাঠে দেয়, তাহলে আমি খুশি। আমি বিশ্বাস করি যদি প্রসেস ফলো করি, ১০০% মাঠে দিলে আমরা বেশিরভাগ ম্যাচ জিতব।’
শান্ত আরও বলেন, ‘এই ম্যাচে যে আমরা ১০০% করতে পেরেছি এমনও না, উন্নতির জায়গা আছে। (জাকের আলী অনিকের স্টাম্পিং মিসের ব্যাপারে) স্টাম্পিংয়ের ব্যাপারটা আসলে অইটা স্টাম্পিং আসলে ছিল না। ডাউন দ্যা উইকেটে গিয়েছিল, কিন্তু বলটা এত আস্তে গিয়েছে অইখান থেকে স্টাম্পিংয়ের সময়টাও ছিল না। এর আগেই ব্যাটার ফিরে গেছে। এখানে কিপারের কোনো ভুল ছিল না। ২-১টা জায়গা এরকম হতে পারে। তবুও আমার মনে হয় অবশ্যই এই জায়গাগুলো যদি ঠিক করতে পারি তাহলে আরও আরামে জিততে পারব। সামনে বড় বড় ম্যাচে এগুলো আমাদের সাহায্য করবে।’