নাসার প্রধান মহাকাশচারী জোসেফ এম. আকাবা তার ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফর সম্পন্ন করেছেন। এই সফরে তিনি তরুণ সমাজ, সরকারি কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের সাথে কার্যকরী মতবিনিময় করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এসব জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, সফরের অংশ হিসেবে আকাবা শিক্ষার্থীদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনে অংশ নেন এবং তরুণদের মহাকাশ বিজ্ঞান, রোবটিক্স, স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত), গবেষণা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি মহাকাশ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং জলবায়ু সংকটসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
আকাবা বিভিন্ন গণমাধ্যম সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়ে নাসার বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান এবং আর্টেমিস অ্যাকর্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ কীভাবে মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
দূতাবাস বলছে, আর্টেমিস অ্যাকর্ড মহাকাশে একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার নীতিকে উৎসাহিত করে এবং বাংলাদেশ ও নাসার মধ্যে মহাকাশ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, জোসেফ এম. আকাবা একজন আমেরিকান শিক্ষক, হাইড্রোজিওলোজিস্ট ও প্রাক্তন পিস কর্পস স্বেচ্ছাসেবক। ২০০৪ সালের মে মাসে তিনি পুয়ের্তো রিকান বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নাসার মহাকাশচারী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২৩ সালে আকাবা নাসার অ্যাস্ট্রোনট অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
একজন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী হিসেবে আকাবা তিনটি মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়ে মহাকাশে ৩০৬ দিনেরও বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন। এই সময়ে তিনি মহাকাশে গবেষণা পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম সম্পাদন করেছেন।