স্মার্টফোন এখন প্রায় সবারই নিত্যসঙ্গী। ঘর থেকে বাইরে এলেই পকেটে মোবাইল ফোন। কিন্তু কোন পকেটে ফোন রাখছেন, তা নিয়ে অনেকেই খুব একটা ভাবেন না। অথচ ভুল পকেটে মোবাইল রাখলে তা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, এমনকি বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোন রাখার সঠিক পদ্ধতি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্মার্টফোন ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
সকালের ঘুম ভাঙা থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত মোবাইল আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট থেকে বড়, প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন। যদিও অনেকেই জানেন যে, স্মার্টফোন থেকে নির্গত বিকিরণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তবুও মোবাইল ছাড়া চলার কথা ভাবা দুষ্কর। চিকিৎসকরা প্রায়ই পরামর্শ দেন, ফোন যতটা সম্ভব শরীর থেকে দূরে রাখা উচিত। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বেশিরভাগ সময় ফোন থাকে আমাদের পকেটেই।
কোন পকেটে মোবাইল রাখা নিরাপদ?
অনেকে অভ্যাসগত কারণে ফোন প্যান্টের পেছনের পকেটে রাখেন। কেউ স্টাইলের জন্য, কেউ আবার সামনের পকেটে চাপ পড়ার ভয়ে পেছনে রাখেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পেছনের পকেটে ফোন রাখা একদমই উচিত নয়।
পেছনের পকেটে ফোন রাখার ঝুঁকি
ব্যাটারি বিস্ফোরণের সম্ভাবনা: স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় অনেক সময় গরম হয়ে যায়। পেছনের পকেটে রাখলে ফোনের ব্যাটারি আরও বেশি চাপের মুখে পড়ে, যা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।
ফোনের ক্ষতির আশঙ্কা: বসার সময় ফোন পেছনের পকেটে থাকলে স্ক্রিন ভেঙে যেতে পারে। এছাড়া হাঁটার সময় ফোন পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বেশি।
চুরির ঝুঁকি: পেছনের পকেট থেকে ফোন চুরি করা চোরদের জন্য সহজ। জনবহুল স্থানে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
সামনের পকেটে রাখার সুবিধা
ফোন প্যান্টের সামনের পকেটে রাখলে চাপ কম পড়ে, ফলে ফোনের ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ে। পাশাপাশি চুরির ঝুঁকিও অনেকটা কমে। তবে দীর্ঘক্ষণ ফোন শরীরের সাথে লেগে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প
ফোন রাখার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হলো ব্যাগ। ব্যাগে রাখলে ফোন শরীর থেকে দূরে থাকে, ফলে বিকিরণের ক্ষতিকর প্রভাব কম হয়। একইসঙ্গে চুরির ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়। যারা প্যান্টের পকেটে ফোন রাখতে অভ্যস্ত, তারা চেষ্টা করুন কম সময় পকেটে ফোন রাখতে এবং প্রয়োজন হলে ব্যাগে বা নিরাপদ স্থানে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
কিছু সচেতনতা
ঘুমানোর সময় ফোন বিছানা থেকে দূরে রাখুন।
ফোন চার্জ দেওয়ার সময় অতিরিক্ত গরম হলে চার্জ বন্ধ রাখুন।
ব্যাটারি ফুলে উঠেছে এমন ফোন কখনোই ব্যবহার করবেন না।
স্মার্টফোনের নিরাপদ ব্যবহার শুধু আপনার ফোনকেই রক্ষা করবে না, বরং আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও মঙ্গল বয়ে আনবে। সঠিক জায়গায় ফোন রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।