বন্যায় পোল্ট্রি খামারিদের ক্ষতি ৫৬৭ কোটি টাকা

বিগত কয়েক দিনের ৪ জেলায় বন্যার কারণে ৪ হাজার পোল্ট্রি খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫৬৭ কোটি টাকার বেশি। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পাশে সরকারের সহযোগিতা না পেলে সংকটে পরবে ডিম মুরগির বাজার। আজ শনিবার বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ) এর পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর-এই চার জেলায় খামারির সংখ্যা ৮ থেকে ৯ হাজার। বন্যায় সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ৪ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি । ডিম মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে সবার আগে প্রয়োজন বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া খামারিদের পূর্ণবাসন করা জরুরী । পোল্ট্রি সেক্টরের চাহিদার ৮০ শতাংশ ডিম মুরগি উৎপাদনকারী প্রান্তিক খামারিদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ৪ জেলার ক্ষতির পরিমানের হিসাব ডিম পাড়া লেয়ার মুরগি মারা গেছে প্রায় ৫লাখ যার বাজার মূল্য ৪০ কোটি টাকা , ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে ৪০লাখ পিস যার বাজার মূল্য ৯৬ কোটি টাকা, সোনালি মুরগি মারা গেছে ৩০ লাখ পিস বাজার মূল্য ৭২ কোটি টাকা, মুরগির খাবার নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টন যার বাজার মূল্য ৩৫কোটি টাকা ।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রত্যেক খামারের স্থাপনা নষ্ট হয়েছে সর্বনিম্ন ৮ লক্ষ টাকা ৪০০০ খামারের স্থাপনা নষ্ট হয়েছে ৩২০ কোটি টাকার , মুরগির বাচ্চা মারা গেছে প্রায় ১৫ লাখ ৪ কোটি ৫০ লক্ষ্য টাকা ৪ জেলায় মোট ক্ষতির পরিমান ৫৬৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা । ক্ষতি গ্রস্থ খামারিদের ঘুরে দাঁড়ানোর জরুরি ভিক্তিতে অল্প সময়ের ভিতরে ভর্তুকি মূল্যে ফিড ও মুরগির বাচ্চা ভ্যাকসিন সরবরাহ সহ নগদ প্রণোদনা ও জামানত বিহীন ব্যাংক ঋণের বাবস্থা করে ডিম মুরগি উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে। বন্যার কারণে ডিম মুরগির মোট চাহিদার ডিমের উৎপাদন কমেছে ৪% থেকে ৫% এবং সোনালি এবং ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন কমেছে প্রায় ৮% এই সংকটের সুযোগ নিয়ে বাজার অস্থির হতে পারে। ডিম মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে ক্ষতি গ্রস্থ বন্ধ খামার গুলো সরকারের সহযোগিতায় চালু করে উৎপাদন বাড়াতে হবে।

সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, আমরা সব সময় বাজেরে স্বস্তি রাখতে সব সময় বাজার সিন্ডিকেটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছি তাতে সিন্ডিকেটের গায়ে লেগে গেছে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যতগুলো তথ্য দিয়েছি তার সব প্রমান আছে । গত ১৯শে আগস্ট ২০২৪ পোল্ট্রি ফিড মুরগির বাচ্চার অযুক্তির দামের জন্য প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ করি তখন কর্পোরেট গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের নামে মামলা হামলা ও বিদেশি এজেন্ট ও ভাড়াটিয়া বানিয়ে প্রতিবাদ বক্তব্য দেয় এবং বিভিন্ন দপ্তরের চিঠি দেয় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেটের কবলে পরে ডিম মুরগির উৎপাদন খরচ বাড়ছে বিপরীতে প্রান্তিক খামারি ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার খামার থেকে বর্তমানে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার খামার টিকে আছে এক লক্ষ খামার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে যারা টিকে আছে এরাও বিভিন্ন সময়ে কোম্পানির চুক্তিভিত্তিক খামার যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে অন্যদিকে বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগে পড়ে খামারগুলো পুঁজি হারিয়ে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে বিনীত আবেদন পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ এবং খামারিদের উৎপাদিত ডিম ও মুরগির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।