বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে তুর্কিয়ের বাণিজ্য মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাণিজ্য উপদেষ্টার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভলিউম বৃদ্ধি, বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ সম্ভাবনা,হালাল ফুড সনদ প্রাপ্তি ও ইকোনমিক কমিশন গঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,তুর্কিয়ে বাংলাদেশের জন্য ভাতৃপ্রতিম দেশ। বাংলাদেশ এবং তুর্কিয়ের বিভিন্ন খাতে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত। এসময় তিনি দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তুর্কিয়েকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ হালাল রপ্তানিকারক দেশ উল্লেখ করে বাংলাদেশের হালাল খাবারের বাজার সম্প্রসারণে তুর্কিয়ের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তিনি বলেন , আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হালাল সনদ প্রাপ্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তুর্কিয়ের হালাল এক্রিডিটেশন অথরিটি ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট এর মধ্য সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হালাল সনদ প্রাপ্তি সহজ করবে। হালাল খাবার রপ্তানি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করবে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

বাংলাদেশে বর্তমানে চমৎকার বিনিয়োগ পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন , বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখন অনেক সহজ করা হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশকিছু সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে রিনিউবল এনার্জি, টেলি-কমিউনিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, ফার্মাসিউটিকেল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সেবা, নির্মাণ শিল্প এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।এসময় তিনি বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনে তুর্কিয়ের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানান।

তুর্কিয়ের বাণিজ্য মন্ত্রী প্রফেসর ড. ওমর বোলাত বলেন , বাংলাদেশ এবং তুর্কিয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ তুর্কিয়ে থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতকেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিকেল রপ্তানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ করতে চায়।
এসময় তিনি বাংলাদেশে রিনিউবল এনার্জি ,গাড়ি নিমাণ শিল্প, ফার্মাসিটিক্যালস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত,লজিসটিক্স ও নির্মাণ শিল্প খাতে তুর্কির বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তুর্কিয়ের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মুস্তাফা তাজকু এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব ) মো. আবদুর রহিম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।