বেশি বেশি পটোল খান, আপনার শরীরের ইমিউনিটি ঠিক রাখবে

বর্ষার সময় আপনাকে অবশ্যই শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে হবে। তা না হলে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল সমস্যা। তবে ভালো খবর হলো— নিয়মিত পটোল খেলেই আপনার কার্যক্ষমতা বাড়বে। সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলা যাবে একাধিক রোগব্যাধি । তাই ঝটপট এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

বর্ষাকালে প্রতিদিনই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি ঝরছে। আর এমন পরিস্থিতিতে আপনার শরীরে প্রভাব বাড়াচ্ছে কিছু জীবাণু। যার ফলে বাড়ছে সর্দি-কাশি, জ্বর ও পেট খারাপের প্রকোপ। তাই এ সময়টায় সবাইকে সাবধান হয়ে ইমিউনিটি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুরুতেই আপনাকে সবার আগে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে। তার বদলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জায়গা করে দিতে হবে ইমিউনিটি বৃদ্ধিকারী খাবার পটোলকে। আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী একাধিক খাবারের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে পটোলের নাম।

আর ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য পটোলের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশদ জেনে নিন। সে জন্য প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এ সবজিকে জায়গা দিন। ব্যস! তাহলেই আপনি সুস্থ থাকবেন।

পটোল হলো ভিটামিন সির ভাণ্ডার। আর এই ভিটামিনের গুণে বাড়ে ইমিউনিটি। দূরে থাকে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা। এমনকি কাছে ঘেঁষতে পারে না ভাইরাসজনিত ডায়ারিয়া। তবে নিয়মিত পটোল ভাজা খেলে এই উপকার পাবেন না। বরং এই সবজি সিদ্ধ করে খান। কিংবা অল্প তেল ও মসলা দিয়ে বানিয়েও খেতে পারেন। তাতেও উপকার মিলবে।

শুধু ইমিউনিটি বাড়ানোই নয়, এতে একাধিক উপকার করে পটোল। যেমন ধরুন– আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের খাবার নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকতে হয়। নইলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে সময় লাগে না। তবে এই রোগে ভুক্তভোগীরা চাইলে নিয়মিত পটোল খেতেই পারেন। তাতেই সুগার কন্ট্রোল করতে পারবেন। কারণ এতে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। এই উপাদান সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরকে প্রদান করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন পটোল খেতে ভুলবেন না।

পটোলের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলো— আপনার ওজন কমবে। আপনার ওজন কি স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তা কমানোর জন্য পটোল খান। এ সবজির ক্যালোরি ভ্যালু খুবই কম। এমনকি এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যে কারণে পটোল খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ক্ষুধা কম পায়। যার ফলে তরতর করে হ্রাস পায় ওজন। সুতরাং আপনার ওয়েট লস ডায়েটে ঝটপট এই সবজিকে জায়গা করে দিন।

তবে ভালো খবর হলো— নিয়মিত পটোল খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করবে। প্রতিদিন পটোল খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। কারণ পটোলে মজুত ফাইবার অন্ত্রের হাল ফেরাতে সাহায্য করে। যার ফলে বাড়ে হজমক্ষমতা। আর কাছে ঘেঁষতে পারে না গ্যাস-অ্যাসিডিটি।

আরও আছে— হার্টের বন্ধু পটোল। এই সবজিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা হার্টের হাল ফেরানোর কাজে একাই একশ। আসলে এই সবজি হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হার্টকে সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ফাইবারের গুণে রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমে যায়। সেই সুবাদেও হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই আজ থেকেই এই পটোলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন।