বৈশ্বিক পুরস্কার পেল বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের যুব সমাজের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে অনুষ্ঠিত এএফআই গ্লোবাল পলিসি ফোরামের সভায় বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

আজ রোববার (১৫ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের যুব সমাজের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশকিছু কার্যক্রম বিবেচনা করা হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক সাক্ষরতার নির্দেশিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এ নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থী ও তরুণদের নির্দিষ্ট শ্রেণির আওতাভুক্তকরণ ও তাঁদের আর্থিক সাক্ষরতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তারা। যেমন দেশের ২১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে স্টার্ট-আপ ফান্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক সাক্ষরতা প্রদান ও গ্রাহক স্বার্থ নিশ্চিত করতে পৃথক ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রমে আর্থিক সাক্ষরতাবিষয়ক অধ্যায় সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশব্যাপী স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৩ লাখ স্কুল ব্যাংক হিসাব চালু করা হয়েছে। স্কুল ব্যাংকিংয়ে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থিক খাতে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী নারী শিক্ষার্থীর হার ৪৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এছাড়া প্রশিক্ষণ, দক্ষতাভিত্তিক পেশা ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারীদের পুনঃ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, এএফআই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে নীতিনির্ধারণী নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানসমূহের আন্তর্জাতিক সংগঠন। বর্তমানে বিশ্বের ৮৪টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক খাতের অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ ৯০টি প্রতিষ্ঠান এ সংস্থার সদস্য। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৯ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানের মুখ্য সদস্য হিসেবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। প্রতিবছর এএফআই কর্তৃক আয়োজিত গ্লোবাল পলিসি ফোরামের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য এর সদস্যদের মধ্য থেকে বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর গ্লোবাল পলিসি ফোরামে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, নীতিনির্ধারকেরা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অংশীজনসহ ৭০০-এর বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।