বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, জীবনের পথ সবসময় মসৃণ হয় না; কখনও সাফল্য আসে, কখনও ব্যর্থতা। তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতায় ভেঙে না পড়ে বরং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, শিক্ষার্থীদের অদম্য মেধা, আকাশছোঁয়া স্বপ্ন আর পাহাড় সমান দৃঢ়তা একদিন তাদের সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেবে।
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত সদস্যদের কৃতি সন্তানদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ গোপালগঞ্জে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি পুলিশ: আইজিপি
আইজিপি বলেন, সততা, পরিশ্রম আর স্বপ্ন একটি জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করে। তিনি বিশ্বাস করেন, এসব সন্তানরা বড় হয়ে আরও কৃতিত্বপূর্ণ কাজ করবে, শুধু পড়াশোনায় নয়, বাস্তব জীবনে কর্মক্ষেত্রেও তারা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে। তিনি আশা করেন, তারা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠবে।
আইজিপি আরও বলেন, আমি চাই এ শিশুরা, এ তরুণরা হোক আগামী দিনের আদর্শ দেশপ্রেমিক, মানবিক ও কর্মনিষ্ঠ নাগরিক। তারা হোক নৈতিক নেতৃত্বের প্রতীক, হোক সাহস ও সম্ভাবনার আলোকবর্তিকা।
অভিভাবকদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, সন্তানদের সাফল্যের পেছনে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি স্বীকার করেন, দায়িত্বের প্রয়োজনে পুলিশ সদস্যরা অনেক সময় সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। এরপরও তারা সন্তানদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন, যা এক বিরল বিপ্লব। আইজিপি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ পুলিশের এই মেধাবৃত্তি কর্মসূচি কেবল একটি পুরস্কার নয়, এটি একটি দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, পুলিশে চাকরি করে আপনারা আপনাদের সন্তানগুলোকে যেভাবে যত্ন করেছেন, খেয়াল করেছেন, স্কুলে পাঠিয়েছেন এবং তারা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল লাভ করেছে, এটা আমাদের জন্য গর্বের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাছের মো. খালেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের মেধাবী সন্তানদের এই স্বীকৃতির মূল উদ্দেশ্য হলো তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়া, যাতে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে। পরে প্রধান অতিথি মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গত ২১ জুলাই রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সব বিষয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৭৩৬ জন এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫৩ জনসহ মোট ৮৯৩ জন শিক্ষার্থী এই মেধাবৃত্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২৪৮ জন এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৫০ জনসহ মোট ২৯৮ জনকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের নিজ নিজ পুলিশ ইউনিটে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ