সবজি, মুরগি, মাংস, ডিমের দাম বিভিন্ন সময় ওঠানামা করলেও মাছের দাম আগের মতো বাড়তিই রয়ে গেছে। অতিরিক্ত বাড়তি দামেই বাজারে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। এতে করে মাছ কিনতে ক্রেতাদের অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মাছের এমন অতিরিক্ত দাম দেখা গেছে। বাজারে পাঙাস, চাষের কই, তেলাপিয়া মাছের দাম তুলনামূলক কম থাকায় এগুলোরই বেশি চাহিদা থাকে। কিন্তু বর্তমান বাজারে এসব মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে।
আজকের বাজারে চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, শোইল মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পাঙাস প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, বড় পুঁটি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, টাকি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা এবং তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফয়সাল আহমেদ বলেন, বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম। মুরগি, মাংস, ডিমের দাম বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। কিন্তু সব ধরনের মাছ দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা আর ভালো মাছ কিনে খেতে পারে না। আজকেও বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি, অথচ বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখি না। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছামতো দাম চেয়ে বসে থাকছে।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাজারে পাঙাস, তেলাপিয়া, কই মাছেই ভরসা সাধারণ ক্রেতাদের। অন্য সব ধরনের মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে মানুষ এই মাছগুলো কিনে খেতো। বর্তমানে এগুলোর দামও বাড়তি। আজ চাষের কই কিনলাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে, অথচ এটাই ২৫০ টাকা করে আগে কিনতাম। ভালো কোনো মাছ তো কিনে খাওয়ার অবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের নেই। সবসময়ই মাছের অতিরিক্ত বেশি দাম থাকে। অন্য বাজার ওঠানামা করলেও মাছের বাজার একদম মনে হয় ফিক্সড হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।
ঝিনাইদহে ১২৩ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
বগুড়ায় ৩টি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
মাছের দামের বিষয়ে রামপুরার মাছ বিক্রেতা আব্দুস সোবহান বলেন, অনেকদিন যাবত মাছের দাম একই রকম রয়েছে। আমরা পাইকারি বাজারে মাছ কিনতে গেলে সেখানেই বেশি দামে আমাদের কিনতে হয়, এরপর আছে পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, লেবার খরচ। সব মিলিয়ে দাম বর্তমানে বেশিই পড়ে যাচ্ছে। আমরা পাইকারি যেমন দামে কিনি তার থেকে কিছুটা লাভ ধরে বিক্রি করি। আমাদের মাছ কেনার খরচ যখন কম পড়বে তখন আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারব। এখন যেহেতু বেশি দামে মাছ কেনা, সেহেতু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
একই বাজেটের আরেক বিক্রেতা আইয়ুব আলী বলেন, মূলত যখন মাছের খাবারের দাম বেড়েছে, তখন থেকেই মাছের দাম বাড়তি। এরপর থেকে আর সেভাবে মাছের দাম কখনোই কমেনি। বলতে গেলে একই রকম দামে মাছ বিক্রি হয়ে আসছে। মাছ চাষী পর্যায়ে মাছের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে মূলত মাছের দাম বাড়তি।