শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ ও হেনস্তা বন্ধে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এরপরও যারা শিক্ষকদের হেনস্তার মতো কার্যক্রমে জড়াবেন, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে পুনরায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্তা বন্ধে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের বিভিন্নপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে এখনও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।’
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে, তা কর্তৃপক্ষ যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগ তুলে যারা শৃঙ্খলাভঙ্গকারী করছেন, তাদের চিহ্নিত করা হবে। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বেআইনি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত হলে তার প্রতিকারের জন্য এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বার্থেই নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্তা বন্ধে এর আগেও দুই দফা আহ্বান ও নির্দেশনা জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এরপরও তা থামছে না। সবশেষ আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসানকে আলটিমেটাম দিয়ে পদত্যাগ করিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও সংকট সৃষ্টি হয়েছে।