খুলনার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিগণের সাথে শ্রম সংস্কার কমিশনের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কমিশন প্রধান জনাব সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদসহ উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসাইন, রাজেকুজ্জামান রতন, এডভোকেট এ কে এম নাসিম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত মতবিনিময় সভায় জনাব সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, শিশু শ্রম নিরসন প্রকল্পের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির নিরপেক্ষ ও গভীর মূল্যায়ন করা দরকার। তিনি জেলে সম্প্রদায়ের মানুষের শ্রম অধিকার ও কল্যাণ সুরক্ষায় তাদের শ্রমের মর্যাদা,স্বীকৃতি সবার আগে দরকার বলে উল্লেখ করেন। তাদের কর্মঘণ্টা, মজুরি, বীমা, কাজের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও পেশাগত দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রদানের দাবিকে জোরালো সমর্থন জানান। এছাড়াও তিনি শ্রম খাতের কাঠামোগত, পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি প্রভাবশালী, দালালি বা এজেন্সি এবং ভি আই পি কালচার সমূলে নিপাত করা খুব জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস বলেন, শ্রমিক অধিকার একটি মানবাধিকার হওয়ায় সকলের এই অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা জরুরি। আইনে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ করার পরও অর্থনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন কারণে তা নিরসন করা যাচ্ছে না। এজন্য শিক্ষাকে মৌলিক চাহিদা থেকে মৌলিক অধিকারে রুপান্তর করা জরুরি।
সভায় শুটকি শিল্প, চিংড়ি ঘেরে নিয়োজিত শ্রমিকের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, নিরাপদ কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি, নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্য নিরসন, নিরাপদ ও পৃথক টয়লেট, যৌন হয়রানি মুক্ত কর্মস্থল, নিরাপদ পানিসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। শোভন কাজের ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং এক মারাত্মক হুমকি বলে অংশগ্রহণকারী গণ উল্লেখ করেন। অনেক শিল্পের ও কাজের শ্রমিক ন্যূনতম শ্রম আইনের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকায় তাদের ইউনিয়ন করার অধিকার দরকার। এজন্য সবাইকে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
সভায় অক্সফ্যাম, ইউসেপ, সলিডারিটি সেন্টার, ব্লাস্ট, কর্মজীবী নারী, জাগো নারী, রুপায়ন ইত্যাদি শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার সংগঠনসমূহ অংশগ্রহণ করেন।