ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের প্রিন্ট মিডিয়ায় শিশু সুরক্ষায় সাংবাদিকতা বিষয়ক ফেলোশিপ পেলেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার অর্চি হক এবং দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার রাবেয়া বেবী।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর)রাজধানীর সিরডাপ এর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের আয়োজনে এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় ‘ফেলোশিপ-২০২৪ : শিশু সুরক্ষায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. গীতি আরা নাসরীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক এবং ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের সভাপতি তাসমিমা হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা। এছাড়া বক্তব্য দেন দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র। নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন অর্চি হক ও রাবেয়া বেবী । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক পরিচালক মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
বিচারকমন্ডলী ছিলেন গবেষক ও লেখক আফসান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জান্নাতুল বাকেয়া কেকা ও মুনিমা সুলতানা।
রোকসানা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের শিশুদের অধিকার রক্ষা এবং শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুদের যৌন নির্যাতন, শোষণ, বাল্যবিবাহ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছি। তবে শিশুদেরকে সুরক্ষিত করা বা এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি একার পক্ষে সম্ভব নয়, বরং বিভিন্ন অংশীজনের সক্রিয় সমর্থন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাংবাদিক ফোরামের সহায়তায় শিশু অধিকার এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও এডভোকেসি কার্যক্রমে সমর্থন তৈরি করা।
ড. গীতি আরা নাসরীন বলেন, গণমাধ্যমে নারীকে অন্তভুক্ত করতে চাইলে, শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এখানে শ্রম আইন আছে। শ্রম আইন অনুসরণ করলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে, আইনের সাথে সংঘর্ষে জড়ানো শিশু, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের কথা আলোচনায় আগামীতে বড় করে আসবে।গণমাধ্যমের অনেক প্রতিবেদনে লেখা হয়, শিশুশ্রমিক। শিশুশ্রম নিরসন ২০১০ উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুকে শিশু শ্রমিক বলা যাবে না। শিশু অপরাধী এই শব্দগুলো ব্যবহরিত হচ্ছে।শিশু বিষয়ক সংবেদনশীল শব্দ ও ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। সংবাদগুলোর বিষয়ের গভীরে যেতে হবে।গণমাধ্যমের সুবিধা তারা তাদের সংবাদের প্রয়োজনে সব জায়গায় পৌঁছুতে পারছে।তাদের সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করা।
তাসমিমা হোসেন এর মতে, আমারও কষ্ট হয়েছে ইত্তেফাকে পুরুষতান্ত্রিকতা ভেঙ্গে কাজ করতে। সংবাদমাধ্যমে কতরকমের বুদ্ধির খেলা হতে পারে তা দেখেছি।আমি জীবনটাকে এভাবেই দেখি।