সম্রাটসহ দুজনের বিচার শুরু, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মাদক আইনের মামলায় এই বিচার শুরু হয়। একইসঙ্গে জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান বলেন, ‘মামলাটি আজ চার্জ শুনানির জন্য ছিল। আসামিদের পক্ষে চার্জ শুনানি পেছাতে সময় আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠনের আদেশ দেন। তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সম্রাট এবং আরমান ‘অসুস্থ রয়েছেন’ জানিয়ে তাদের আইনজীবীরা সময় আবেদন করেছিলেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণির চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণির চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।

৭ অক্টোবর বিকালে র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই আ. হালিম।

এরপর ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল জামিন পান তারা।

উল্লেখ্য যে, গত ১৬ জানুয়ারি সম্রাটের অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জগঠন হয়েছে। ওই মামলাতেও তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।