দেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর চাকরি ঝুলে গিয়েছিল টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। বিসিবি সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া ফারুক আহমেদ নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই জানিয়েছিলেন হাথুরুর বিকল্প কোচ খোঁজার কথা। যদিও পাকিস্তান সিরিজে অবিশ্বাস্য ফল এবং পরপরই ভারতের মাটিতে সিরিজ। সব মিলিয়ে হাথুরু অধ্যায় অনেকটা চাপা পড়ে গিয়েছিল।
তবে ভারতের বিপক্ষে দুই ফরম্যাটের সিরিজেই ভরাডুবির পর আবারও নড়েচড়ে বসে বিসিবি। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগেই বরখাস্ত হলেন হাথুরুসিংহে। সেই সঙ্গে শোকজও করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাথুরুকে শোকজ ও বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু সেবার চুক্তির মাঝপথে হাথুরুসিংহে অনেকটা আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান। সেই সময়ে আলোচনা ওঠে, কোনও ক্রিকেটার বা বোর্ড কর্তার সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণেই হয়ত দেশ ছাড়েন তিনি। যদিও অনেক পরে এসে জানান, শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার কারণেই সেই সময়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।
২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন শ্রীলঙ্কার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ৩৫ হাজার ডলারে তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। যে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ পূরণ না করে এবারও বরখাস্ত করা হলো হাথুরুসিংহেকে।