৩০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে জাতীয় পিঠা উৎসব

পিঠা শুধু আবহমান বাংলার ঐতিহ্যই নয়, এটি লোকজ সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। শীতের সঙ্গে পিঠার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। নগরজীবনের বাসিন্দাদের কাছে পিঠার গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে বরাবরের মতো এবারও যৌথভাবে জাতীয় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ৩০ জানুয়ারি বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের উৎসব মঞ্চে ১০ দিনব্যাপি জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩১ এর উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যজন আমানুল হক, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল ও উৎসব উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক কামাল বায়েজীদ।

উদ্বোধন পর্বে স্বাগত বক্তৃতা করবেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম। ষাটটি স্টলে প্রায় দুই শতাধিক বাহারি ও বৈচিত্র্যময় পিঠার সমাহার নিয়ে দোকানীরা পিঠার পসরা সাজিয়ে বসবেন উৎসব প্রাঙ্গণে। পিঠা বানানোর পাশাপাশি ক্রেতারা তৈরি পিঠা কিনতে পারবেন উৎসব থেকে। প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে উৎসবের কার্যক্রম। স্টলে পিঠা শিল্পীদের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করার পাশাপাশি উৎসবমঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন উৎসব প্রাঙ্গণে আগতরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ১২০জন সঙ্গীতশিল্পী, ২২টি নাচের দল, ২০টি নাটকের দল আবহমান সংস্কৃতির বিভিন্ন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিবেশন করবে।

৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে দশদিনের এই উৎসব। বিচারকদের রায়ে সমাপনী আসরে পাঁচজন পিঠাশিল্পীকে শ্রেষ্ঠ পিঠাশিল্পীর পুরস্কার প্রদান করা হবে। গতকাল সোমবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এতে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম।