অন্তত ২০০ রানের টার্গেট দিতে চায় বাংলাদেশ

দ্বিতীয় দিন আলোর স্বল্পতায় ১৬ ওভার খেলা হয়নি। ওই এক ঘণ্টা খেলা হলে কি হতো? তা নিয়ে একটা ছোটখাট বিতর্ক হতেই পারে। তবে দিন শেষে এখনও ১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা ওপেনার সাদমান এবারও (১) চরম ব্যর্থ। একই অবস্থা মুমিনুল হক (৪) আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও (২৩)। এ টেস্টে আবার দলে ফেরা মাহমুদুল হাসান জয় বারকয়েক আউটের হাত থেকে বেঁচে ৩৮ রানে ক্রিজে। আর অভিজ্ঞ মুশফিক ৩১ নটআউট।

৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট খোয়া যাওয়ার পর ৪২ রানের জুটি। যার ৩১ রানই মুশফিকের। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের কাছ থেকে একটা বড় ইনিংসের আশায় বুক বেঁধে আছেন ভক্তরা। মুশফিক কী করবেন? এই জুটি আর কতদূর যাবে?

এরপর লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিকরা কে কেমন খেলবেন? সব মিলে বাংলাদেশইবা কত তুলতে পারবে স্কোরবোর্ডে? এসব কৌতুহলী প্রশ্ন ভক্তদের মনে।

তবে টাইগার পেসার হাসান মাহমুদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ দল এখনো রণে ভঙ্গ দেয়নি। তাদের লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তত ২০০ রানের টার্গেট দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিল ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য কী? তরুণ টাইগার পেসার হাসান মাহমুদের ছোট্ট জবাব, ‘আমার মনে হয় ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দিলে অবশ্যই আমরা পারব ইনশাআল্লাহ।’

পাল্টা প্রশ্ন উঠলো, ২০০ রানে লিড নেওয়ার অর্থ দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০০-এর ওপর রান করা। বাংলাদেশের কি সে সামর্থ্য আছে? হাসান মাহমুদ আশাবাদী, ‘আমরা যদি আগামীকাল অন্তত ৩ সেশন ব্যাট করতে পারি, তাহলে সম্ভব।’

প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হওয়া দল কি তা পারবে? হাসান মাহমুদ দুই অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় আর মুশফিকের দিকে তাকিয়ে।

টাইগার পেসার বলেন, ‘জয় আর মুশি ভাই অনেক ভালো একটা সময় পার করছে। কালকে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে যত লম্বা সময় ব্যাট করতে পারার। পরের ব্যাটারদেরও একই মনোভাব নিয়ে ব্যাট করা উচিত। তাদেরও মাথায় রাখা দরকার যে, আমরা যেন বড় জুটি করতে পারি।’