বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি মহল কাজ শুরু করে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির আয়োজনে ‘দ্বি-কক্ষ পার্লামেন্ট- উচ্চকক্ষ গঠন’ আলোচনায় সভায় তিনি এই কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি মহল কাজ শুরু করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে। তারা নাকি একবারে দেশটাকে সংস্কার করে দেশটাকে পরিবর্তন করে ফেলবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নেই পার্লামেন্টের দরকার নাই। একটি পত্রিকায় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট জরিপ করে দেখিয়েছে যতদিন খুশি এই সরকার থাকুক। আমি জানিনা তারা কিভাবে এই জরিপ করলো। কিন্তু জনগণ তো এটা মেনে নেবেনা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেন। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হলে অবশ্যই পার্লামেন্ট প্রয়োজন। পার্লামেন্ট না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবেনা। ফলে দ্রুত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর সেই সরকার সিদ্ধান্ত নিবে কোথায় কোন জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে। তখন সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে নাকি সংশোধন হবে সেটা সংসদ সিদ্ধান্ত নিবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার এই দেশে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান নষ্ট করে ফেলছে। নির্বাচন করার জন্য নূন্যতম যে সংস্কার প্রয়োজন তা করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে প্রয়োজন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র জনতার বুকের রক্ত দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটাকে নস্যাৎ করার জন্য একটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্য সমাজের গুরুত্বপূর্ণ লোক বিভ্রান্তমূলক কথা বলছে। এই সরকার যাদের দায়িত্ব দিয়েছে তাদের মধ্য অনেকে বলছে নতুন দল করতে হবে। আমাদের বিস্মিত লাগে নতুন দল গঠনের দায়িত্ব এদের কে দিয়েছে। তাহলে বলেন জনগণে কিভাবে বুঝবে এরা নিরপেক্ষ কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে দীর্ঘ ত্যাগ তিতিক্ষার পরে ১৫ থেকে ১৭ বছর নির্যাতিত হয়েছি। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্যাতিত হয়ে বিদেশে আছেন। আমাদের নেতাকর্মীর নামে ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অবিলম্বে মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে যারা আহত নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন।