#তিতাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে মোবাইল কোর্ট পরিচালিততিতাসের মোবাইল কোর্টের
অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের দোলেশ্বর বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় নামবিহীন একটি জিআই তার তৈরির কারখানা অবৈধ সংযোগ ও একটি ওয়াশিং কারখানার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জিনজিরা শাখার ঢাকা মেট্রো বিক্রয় বিভাগের (মেঢাবিবি-২) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের ফলে মাসে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হবে বলে জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার বেলা ১১টা থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু করেন তারা। এ সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর কোন্ডা ইউনিয়ন আবাসিক এলাকায় ২১/১ নম্বর হোল্ডিংয়ের দেয়াল ঘেঁষা জমিতে অবস্থিত সাইনবোর্ডবিহীন জিআই তারের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগের সন্ধান পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক কারখানার সার্ভিস লাইন সোর্স পয়েন্ট থেকে তা বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় একই এলাকায় নামহীন অপর এক অভিযানে একটি ওয়াশিং কারখানার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, অবৈধ সাইনবোর্ডবিহীন জিআই তারের কারখানাটি আবাসিক এলাকায় পরিচালিত হয়ে পরিবেশও দূষণ করছিল। মালিকদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। তবে কারখানার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। থানা পুলিশ তাদের খোঁজ করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মিজান, মনির ও সবুজ নামীয় ৩ ভাই অনেক ঝামেলা করে আইনের তোয়াক্কা না করে জিআই তারের কারখানা চালাচ্ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা, মো. রিপন অভিযোগ করে বলেন, ওই কারখানা থেকে সৃষ্ট ধোয়া ও তাপের জন্য বাসায় বসবাস করা যাচ্ছিলো না। আমার বাড়ির কয়েকটি ফ্লোর খালি রাখতে হচ্ছে দিনের পর দিন। ওই কারখানাটির উচ্ছেদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।