অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বর্তমানে বেশ কিছু কারণে কঠিন হয়ে উঠছে। এর মধ্যে রয়েছে ভিসার জন্য আবেদন করার খরচ বৃদ্ধি, নথিপত্রের কঠোরতা, এবং ভাষা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা। এছাড়াও, কিছু নির্দিষ্ট ভিসার জন্য বয়স এবং কাজের অভিজ্ঞতার শর্তাবলী কঠোর করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন কঠিন হওয়ার কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
১.খরচ বৃদ্ধি:
ভিসার আবেদন করার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২.কঠোর নথিপত্র যাচাই:
আবেদনকারীদের সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং তথ্য সরবরাহ করতে হবে, যা যাচাই করা হবে।
৩.ভাষা দক্ষতা:
কিছু ভিসার জন্য ইংরেজি ভাষা পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা আবশ্যক।
৪.বয়স এবং অভিজ্ঞতা:
কিছু ভিসার জন্য আবেদনকারীর বয়স এবং কাজের অভিজ্ঞতার শর্তাবলী কঠোর করা হয়েছে।
৫.ভিসার প্রকারভেদ:
কিছু ভিসার ক্ষেত্রে, যেমন দক্ষ কর্মী ভিসা, আবেদনকারীর যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে।
৬.ভিসা প্রক্রিয়াকরণে সময় বৃদ্ধি:
ভিসা প্রক্রিয়াকরণে সময় লাগতে পারে, যা আবেদনকারীদের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনে আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতে নতুন নিয়ম কার্যকর হতে যাচ্ছে। এতে অনেকের জন্য সুযোগ তৈরি হলেও বাড়ছে শর্তের কড়াকড়ি।
সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে বাড়ছে বিভিন্ন ভিসার ফি ও বেতনের সীমা। ছাত্র ভিসার জন্য ফি বাড়ছে ১ হাজার ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ডলারে। স্পনসর ভিসায় ন্যূনতম বেতন বেড়ে হচ্ছে ৭৬ হাজার ৫১৫ ডলার। দক্ষ কর্মীদের জন্য বেতন সীমা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১০ ডলার করা হয়েছে।
এ ছাড়া, বিভিন্ন রাজ্যে নতুন মনোনয়ন আবেদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে নতুন কোটা ঘোষণা হলে আবার চালু হবে মনোনয়ন কার্যক্রম।
আঞ্চলিক এলাকায় কাজের সুযোগও বাড়ছে। ডামা ভিসার আওতায় সর্বোচ্চ বয়সসীমা করা হয়েছে ৫৫ বছর। ইংরেজি ভাষার শর্তেও শিথিলতা আনা হয়েছে। এই ভিসার মাধ্যমে আঞ্চলিক এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের পথ খুলছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিভাবান, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য চালু হচ্ছে ‘ন্যাশনাল ইনোভেশন ভিসা’। এর জন্য ৭ স্তরের আবেদন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ৪৮২ টেম্পোরারি স্কিলড ভিসার বাতিলের হার বেড়েছে ৪১ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পেশা নির্বাচন না করলে আবেদন বাতিলের ঝুঁকি বেড়েছে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি না থাকলে ভিসা পাওয়া কঠিন হবে। তাই এখনই স্কিল অ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন করার পাশাপাশি ইংরেজি পরীক্ষায় ভালো স্কোরের জন্য প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।