পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প কারখানায় সুষ্ঠ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে, বিশেষ করে পোশাক শিল্পকে ঝুট সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন প্রয়াগকারী সংস্থাগুলোর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমই। সংগঠনটির প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গাজীপুরসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প কারখানার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন আইন প্রয়াগকারী সংস্থাগুলো যেভাবে ধৈর্য ও বিচক্ষনতা সহকারে কাজ করে যাচ্ছে, যেভাবে দেশের পুনর্গঠন ও অর্থনীতির পুনুরুদ্ধারে লিপ্ত হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
পোশাক শিল্পের চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ডিসি ঢাকা জেলা, ডিসি গাজীপুর জেলা, ডিসি নারায়নগঞ্জ জেলা, ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, ডিবি এবং পোশাক কারখানা প্রতিনিধিদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিএমইএ এর প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন নবম পদাতিক ডিভিশন এর জিওসি, মেজর জেনারেল মো: মইন খান, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি। আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এর অ্যাডিশনাল আইজিপি মোঃ ছিবগাত উল্লাহ, পিপিএম। আলোচনায় সভায় বিজিএমইএ পরিচালনায় গঠিত সহায়ক কমিটির সদস্যগনও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দেশের শিল্প কারখানাগুলোর বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যাগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। কারখানার প্রতিনিধিরা শিল্পখাতের শান্তিপূর্ন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে তাদের স্ব স্ব মতামত তুলে ধরেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, মজুরি বা অন্য যে কোন ইস্যুতে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কোন দূরত্ব বা দ্বন্ধ তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিনিধি মিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। কোন ধরনের শ্রম অসন্তোষ যেন না হয়, এ ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকবেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শিল্পাঞ্চলে কারখানার নিরাপত্তা পরিবেশ নিশ্ছিদ্র রাখতে তৎপর আছে সেনাবাহিনী। সিসিটিভি এর মাধ্যমে সনাক্তকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যও কারখানাগুলোর প্রতি আহবান করা হয়।
মেজর জেনারেল মোঃ মইন খান, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি পোশাক উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, সব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিল্পের পাশেই রয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বর্তমানে গাজীপুর, সাভার-আশুলিয়া, ধামরাই, নারায়নগঞ্জ ডিএমপি এলাকায় ৯৯% কারখানায় পুর্ণদ্যমে কাজ চলছে। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার এই ক্ষণে পোশাক কারখানাগুলোতে সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশ বজায় রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সেনাবাহিনী সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। শিল্পে যে কোন ধরনের অরাজকতা করার চেষ্টা করলে, তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। সভায় সকল পক্ষ সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন।