আইফোনকে পেছনে ফেলে চাঁদে নোকিয়া

মোবাইল বা মুঠোফোনের দুনিয়ায় নোকিয়ার নাম শোনেনি এমন ব্যক্তি মেলা ভার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ফোনের জগত থেকে এক প্রকার হারিয়েই যেতে বসেছে এই নাম। বছরে যদিও বা দুই একবার নোকিয়ার নাম শোনা গেলেও আইফোন, স্যামসাং বা আরো নামধারী মোবাইলের কাছে নোকিয়া নামটা বড়ই ফিকে। তবে মুঠোফোনে পিছিয়ে থাকলেও এবার আইফোন ও স্যামসাং কোম্পানিকে পেছনে ফেলে চাঁদে প্রথমবারের মতো সেলুলার নেটওয়ার্ক তৈরি করল নোকিয়া।

এক সময় ফোনের জগতে রাজত্ব করা নোকিয়া অন্যান্য ফোনের সাথে টক্করে মুখ থুবড়ে পড়লেও চাঁদে নেটওয়ার্ক সৃষ্টিতে এগিয়ে গিয়েছে।

নোকিয়া ফোনে মানুষ আবারও মনোনিবেশ করতে পারবে কিনা সে ব্যাপারে সন্দিহান, তাই তো জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর দিকে ঝুকতে শুরু করেছে নোকিয়া।

বলতে গেলে চাঁদে নেটওয়ার্ক গড়েছে নোকিয়া। নেটওয়ার্কটির নাম দেয়া হয়েছে লুনার সারফেস কমিউনিকেশন সিস্টেম। এই নেটওয়ার্কটি 4G/LTE সেলুলার প্রযুক্তির একটি প্রতিরূপ। LSCS নেটওয়ার্কটি যোগ্য করে গড়ে তুলতে আরও উপাদানের প্রয়োজন। আর সেই উপাদানের দুটি যানবাহন হল মাইক্রো-নোভা হপার এবং MAPP।

মাইক্রো-নোভা হপার একটি ক্ষুদ্র যন্ত্র যা চাঁদে স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত গর্তের ভিতরে হাইড্রোজেনের বড় ঘনত্বের সন্ধান করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। অন্যদিকে, এমএপিপি বা মোবাইল অটোনোমাস প্রসপেক্টিং প্ল্যাটফর্ম, লুনার আউটপোস্ট দিয়ে ডিজাইন করা একটি রোভার। এর কাজ হল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভ্রমণ করা, ম্যাপিং করা, স্টেরিও ছবি এবং পরিবেশগত তথ্য সংগ্রহ করা।

এই দুটি যানই কমবেশি নোকিয়া নেটওয়ার্কের উপাদান। উদাহরণস্বরূপ, এটি ব্যবহার করে পৃথিবীতে সংগৃহীত তথ্য পাঠানো হবে।

ফেব্রুয়ারির কোনও এক সময়ে, গ্রেস তৈরি করা এই Intuitive Machines কোম্পানি কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে NASA-এর Commercial Lunar Payload Services (CLPS) প্রোগ্রামের অধীনে তার দ্বিতীয় মিশন চালু করবে।

প্রথমটি, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত হয়েছিল, সেখানে Odysseus নামক একটি নোভা-সি ক্লাস ল্যান্ডার চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছিল, যা ১৯৭২ সালে Apollo 17 মিশনের পর আমেরিকান মহাকাশ শিল্পের জন্য প্রথম অর্জন ছিল।

ফাতেমা এ্যানি