আকস্মিক ঘোষণায় মাত্র ২৯ বছর বয়সে নিকোলাস পুরানের অবসর

সবাইকে চমকে দিয়ে মাত্র ২৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ এবং সবচেয়ে বেশি রানের মালিক নিজের অবসরের কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

সাম্প্রতিক সময়ে তারকা ক্রিকেটারদের জাতীয় দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। নিকোলাস পুরান তারই নতুন সংযোজন। এর আগে গত ১ মাসের মাঝে ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে সরে গিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরিপূর্ণ অবসরে গিয়েছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন। এবার তাতে যুক্ত হলো পুরানের নাম। এদের সবাই জাতীয় দল ছাড়লেও খেলবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে।

নিকোলাস পুরানের এমন আকস্মিক অবসর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে এসেছে। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা পেতে ব্যর্থ হয়। এরপরেই তারা সাদা বলে নিজেদের ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছিল। পুরানের অবসর তাতে এক ধাক্কাই বটে।

অন্তত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পুরান তার সেরা ফর্মে ছিলেন। গত বছর এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (১৭০টি) হাঁকিয়েছিলেন। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে পুরান প্রথমবারের মতো এক মৌসুমে ৫০০ রান অতিক্রম করেন এবং টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৪০টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

আইপিএলের পর নিজেকে খানিক বিশ্রাম দিতে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সফরের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন পুরান। এরপরেই দিয়ে দিলেন অবসরের ঘোষণা। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পুরান লিখেছেন, ‘অনেক চিন্তা ভাবনা এবং আত্মবিশ্লেষণের পর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

পুরান তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “মেরুন জার্সি পরা, জাতীয় সংগীতের সময় দাঁড়ানো, এবং প্রতিবার মাঠে নেমে নিজের সবকিছু উজাড় করে দেওয়া—এই অনুভূতিগুলো আমার কাছে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দলের অধিনায়ক হওয়া ছিল আমার জন্য একটি সম্মান, যা আমি সবসময় হৃদয়ে ধারণ করে রাখব।”

“যদিও আমার আন্তর্জাতিক অধ্যায় এখানেই শেষ হচ্ছে, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রতি আমার ভালোবাসা কখনোই কমবে না। আমি দল এবং পুরো অঞ্চলটির জন্য আগামীর পথচলায় সাফল্য ও শক্তি কামনা করি।”

২৯ বছর বয়সী নিকোলাস পুরান কখনোই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলেননি। তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এবং ওডিআই অভিষেক ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জায়গা না পাওয়ার পর থেকে তিনি আর ওডিআই খেলেননি।