আজও ৩ গেট বন্ধ, শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ছাড়া ঢুকতে পারছেন না কেউ

ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর তৃতীয় দিনের মতো আজ চুতর্থ দিনেও উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকসহ তিনটি গেট সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কোনো কোনো অভিভাবককে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তাদেরও ঢুকতে হচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে আইডি কার্ড দেখিয়ে। তবে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যাচ্ছেন।

স্কুলটির ভেতরে ও দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন গোলচত্বরে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। দু-একজন শিক্ষার্থীকে বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাদের গলায় ছিল স্কুলের আইডি কার্ড।

আরও পড়ুনঃ মাইলস্টোনের গেটে তালা, বাইরে উৎসুক জনতার ভিড়

সরেজমিনে সকাল ১০টায় স্কুলটির সামনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটক বন্ধ। গতকালের মতো আজও গণমাধ্যমকর্মীরা বাইরে অপেক্ষা করছেন। প্রধান ফটকের ডান দিকে সরু গলি। এ গলির মাঝখানে ও শেষে স্কুলের দুটি গেট, এ দুটি গেটও বন্ধ। গলিটিতে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে৷

সকালের বৃষ্টিতে স্কুলের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় ও গলিতে পানি জমেছে। কাদা ও পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। প্রধান ফটকের বাইরে কয়েকজনকে ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণ করতে দেখা গেছে।

গতকালের মতো আজও সকাল থেকে দিয়াবাড়ি মোড় ও আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করতে দেখা গেছে।

স্কুলটির নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্কুলের গেটগুলো বন্ধ রা হয়েছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও কর্মচারীরা আইডি কার্ড দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করছেন।

প্রধান ফটকের সামনে কথা হয় শাহেদুল নামের একজনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বাসা কাছেই। এখানে এমনিতেই এসেছি। এত বড় একটি দুর্ঘটনা হয়ে গেল, নিহতদের স্মরণে এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ হলে খুব ভালো হতো।’

উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে ১০ মিনিটের দূরত্বে মাইলস্টোন স্কুলের অবস্থান। মেট্রো স্টেশনের নিচে বয়স্ক একজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন বলে জানান। এ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, ‘স্কুলটি কোথায়। এখান থেকে রিকশা ভাড়া কত? মন মেজাজ ভালো না বাবা, স্কুলটি দেখতে এসেছি।’

এর আগে গত মঙ্গলবার স্কুলটিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং সি আর আবরার। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ প্রেস উইংয়ের আরও তিন সদস্য। টানা ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।

এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে ঠিকানাসহ তালিকা প্রস্তুত করতে কমিটি গঠন করেছে স্কুলটি পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ