আড়াই ঘণ্টা অচল স্টারলিংক, ক্ষমা চাইলেন মাস্ক

বিশ্বজুড়ে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে জনপ্রিয় স্টারলিংক। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের একটি অঙ্গসংস্থা এটি। যা হাজার হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দিয়ে চলেছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিশ্বব্যাপী স্টারলিংকের সেবা ব্যাহত হয়। স্টারলিংকের ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ৩০ মিনিট ধরে বিঘ্নিত হয় স্টারলিংকের সেবা। প্রায় ১৪০টি দেশ ও অঞ্চলে ৬০ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী স্টারলিংকের অসুবিধায় পড়েন। সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে এমনটাই জানান স্টারলিংক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল নিকোলস।

ক্রাউডসোর্সড বিভ্রাট ট্র্যাকার ডাউনডিটেক্টরের তথ্যানুসারে, বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিকাল ৩টার দিকে ব্যবহারকারীরা বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে শুরু করেন। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০ হাজার ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটে রিপোর্ট করেছেন যে তারা এই ত্রুটির কারণে প্রভাবিত হয়েছেন।

নিকোলাস তার পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘ স্টারলিংকের মূল নেটওয়ার্ক পরিচালনায় প্রয়োজনীয় কিছু অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যারে ত্রুটি ছিল, যার কারণেই এই বিভ্রাট দেখা দেয়। আমরা এই সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখিত। স্টারলিংক সবসময় নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এমনকি নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ইলন মাস্কও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, ‘এই বিভ্রাটের জন্য দুঃখিত। স্পেসএক্স এর মূল কারণ খুঁজে বের করে তা চিরতরে সমাধান করবে।’

বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় পরিসরের এই বিভ্রাট স্টারলিংকের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এটি সফটওয়্যার ত্রুটি, ব্যর্থ আপডেট বা সাইবার আক্রমণের ফল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২০ সাল থেকে স্পেসএক্স পৃথিবীর কক্ষপথে ৮ হাজারের বেশি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। বিশ্বের যেসব অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছানো দুঃসাধ্য, সেখানে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারে স্যাটেলাইটের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। আর এর সাহায্যে দুর্গম এলাকাগুলোতেও সহজে পৌঁছানো যায় ইন্টারনেট সেবা। বাংলাদেশের দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে। বাংলাদেশেও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে স্টারলিংক।

সূত্র: রয়টার্স