বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নজিরবিহীন গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রিজন ভ্যানে করে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ০৩/২০২৪ নম্বর মামলার পরোয়ানায় দুই মন্ত্রীকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়। সেখান থেকে তাদেরকে তোলা হবে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কক্ষে তাদের শুনানি করবেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।
গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম উত্তরায় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হন গত ১৮ নভেম্বর।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশ অভিযোগ এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরইমধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক সচিবকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।