আবুজর গিফারী কলেজ সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা, নতুন সভাপতি নিয়োগের দাবি

আবুজর গিফারী কলেজ (মালিবাগ, ঢাকা) গভর্নিং বডির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থ জানিয়েছেন অন্য গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ। একই সাথে নতুন সভাপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা। আজ কলেজ প্রাঙ্গনে গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ এ দাবি জানান। সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন তারা।

বর্তমান কলেজ গভর্নিং বডি সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মামুন চৌধুরীর মারাতিরিক্ত অসৌজন্য মূলক ও রূঢ আচরণ, বিভিন্ন অনিয়মকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, কলেজের প্রশাসনিক কাজে প্রতি নিয়ত অযাচিত ভাবে হস্তক্ষেপ, শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং ও কোন্দল সৃষ্টি, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কলেজের পরিবেশ অস্থিতিশীল করা, স্বৈরাচারের দোসর ও কলেজের দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ কলেজের সমস্ত কর্মকান্ড পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন অন্যরা । কলেজের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষক-কর্মচারী ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানান তারা।

সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে।

বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষকে হুমকি দিতেন সভাপতির কথামতো (অনৈতিক প্রস্তাব) না চললে চাকুরিচ্যুত করার। এডহক কমিটির মেয়াদের শেষ দিন অর্থাৎ ১০ মার্চ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে সভাপতির একক সিদ্ধান্তে কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়কে সাময়িক অব্যাহতি দেন এবং উপাধ্যক্ষ কে তার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রলোভন দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পন করেন যা পুরোপুরি অবৈধ। উপাধ্যক্ষ মহোদয় চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধির লোভে পড়ে সভাপতির নির্দেশে অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এডহক কমিটির ০৯/০৩/২০২৫ তারিখের সভা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎসবিজ্ঞান বিভাগে অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল। সকল সদস্য উপস্থিত হলে সভাপতি মহোদয় দাতা সদস্যকে তার কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেন এবং তিনি সভা করবেন না বলে জানান।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও সভাপতি মহোদয় সভা আহ্বান করেননি। আর যখনই সভা আহনে করা হলো তখন সভাপতির অনুকূলে থাকা আওয়ামীলীগপন্থী শিক্ষকদের অনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইতেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবে সভা আহ্বান করায় ১১ সদস্য বিশিষ্ট গর্ভনিং বডির ৬ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। বিধি মোতাবেক ৬ জন সদস্যর উপস্থিতিতে কোরাম হওয়ার কথা কিন্তু তারা নিয়ম না মেনে পাঁচ জন সদস্য নিয়ে সভা পরিচালনা করেন। এমতাবস্থায় সভা অনুষ্ঠান অবৈধ হলেও সভাপতি মহোদয়, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও দুজন শিক্ষক প্রতিনিধি সভা সম্পন্ন করে আরেকজন সংরক্ষিত নারী সদস্যের বাসায় উপস্থিত হয়ে তাকে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। উল্লেখ্য যে, সংরক্ষিত নারী শিক্ষক সদস্য অসুস্থতাজনিত কারণে সায় অনুপস্থিতির অনুমতি দেওয়ার পরও সভাপতি মহোদয় এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলী মোহাম্মদ কাওসার তাকে উপস্থিত হতে জোর করেই ক্ষান্ত হননি তাকে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেন স্থানা শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বন্ধের ঘুমকি দেন।

সভাতে যোগদানের জন্য সভাপতির সম্মানী ৬০০০/- টাকা এবং অন্যান্য সদস্যবৃন্দের জন্য জনপ্রতি ৩০০০/- টাকা নির্ধারিত ছিল। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সভাতেই সম্মানী বাড়িয়ে ৬০০০/- টাকা থেকে ২০,০০০/- টাকায় উন্নীত করার জন্য অধ্যক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করেন অধ্যক্ষের অনুরোধক্রমে পরে তা ১২০০০/- টাকা নির্ধারন করা হয় যা অনৈতিক, অগ্রহণযোগ্য ও দুর্নীতির তামিল। কামাড়া বিস্যোসায়ী সদস্যের সম্মানী ৩০০০/- টাকা থেকে ৮০০০/- টাকায় নির্ধারণ করা হয় উল্লেখ্য এস এমনি বড়ির অনান্য সদস্যবৃন্দের সন্ধানী বৃদ্ধি না করে তা পূর্বদিয়ারিও ৩০০০/- টাকাই রয়ে কাছে এক্ষেত্রে একদিকে যেমন কলেজের ৩য় বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে এডহক কমিটির সদস্যদের সমানীর ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন চিঠিতে নিম্নোক্ত ব্যাক্তিরা স্বাক্ষর করেন।

১। জনাব মোঃ আবুল মনসুর (দাতাসদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি)

২। জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম টিপু (হিতৈষীসদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি)

৩। মোঃ মনির হোসেন (অভিভাবক সদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি)

৪। মুনীর আহমদ খান (অভিভাবক সদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি)

৫। গোলাম সারোয়ার (অভিভাবক সদস্য, কলেজ গভর্নিং বডি)

৬। মোঃ ফরিদ আহমেদ (শিক্ষক প্রতিনিধি, কলেজ গভর্নিং বডি)

৭। মোঃ করল কুসুম (শিক্ষক প্রতিনিধি, কলেজ গভর্নিং বডি)

৮। জুলেখা বেগম (শিক্ষক প্রতিনিতি কলেজ গভর্নিং বডি)

অভিযোগের বিষয়ে বর্তমান কলেজ গভর্নিং বডি সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মামুন চৌধুরীকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।