আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ নারী দল। তাই আয়ারল্যান্ড নারী দলের জন্য সিরিজের শেষ ম্যাচটি ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। তবে এই ম্যাচেও তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৯ উইকেটের জয়ে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করল টাইগ্রেসরা।

মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে খেলতে নেমে ৩৭ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই মুর্শিদাকে হারায় স্বাগতিকরা। ১৬ বলে ৮ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তবে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছেন আরেক ওপেনার ফারজানা হক ও তিনে নামা শারমিন আক্তার। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন। শারমিন ৮৮ বলে ৭২ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ফিফটি করেছেন ফারজানাও। তবে দুজনের কেউই ম্যাচ শেষ করে আস্তে পারেননি।

শেষদিকে সুবহানা মুস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে বাজি কাজটা সহজেই সেরেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ১৮ রান করে। আর মুস্তারি করেছেন অপরাজিত ৭ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৯ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভাঙে আয়ারল্যান্ডের। আইরিশ ওপেনার সারাহ ফোর্বসকে ফিরিয়ে স্বাগতিক দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুলতানা খাতুন। ১৮ বলে ৫ রান করে বোল্ড হন সারাহ।

দ্বিতীয় উইকেটে অ্যামি হান্টারকে নিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালান আরেক ওপেনার গ্যাবি লুইস। ৪৮ রান ব্যাপ্তির জুটিটি ভাঙেন রাবেয়া। ৪০ বলে ২৩ রান করে তার শিকার হয়ে ফেরেন হান্টার। শুরুর দুই ব্যাটার ইনিংস বড় করতে না পারলেও গ্যাবি লুইস এদিন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন। ফাহিমার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন আইরিশ কাপ্তান।

গ্যাবি লুইসের বিদায়ের পর একের পর এক উইকেট হারিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেনি সফরকারী মেয়েরা। ৯৭ রানে তিন উইকেট থেকে দলীয় ১২৩ রানে ৬ ব্যাটার হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড।

এরপর ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হয় তারা। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে ১৮৫ রানে থামে সফরকারীদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৫২ রান এসেছে গ্যাবি লুইসের ব্যাট থেকে। ৪৫ বলে ২৭ রান করেন অর্লা প্রিন্ডারগাস্ট।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেছেন ফাহিমা খাতুন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার।