গ্যাসের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার ৯৬০ টাকা। এক কার্গোতে থাকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি এ সিদ্ধান্ত দেয়। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে ক্রয়ের এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ৭টি প্রস্তাব উপস্থাপিত ও আলোচিত হয় এবং সবকয়টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশের জ্বালানি ও সারের চাহিদা মেটাতে কিছু প্রস্তাব আসে। যার মধ্যে একটি প্রস্তাব ছিল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ক্রয় বিষয়ে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুর মেসার্স গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো (২০২৪ সালের ২৬তম) এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি দাম পড়বে ১৩.৫৭ মার্কিন ডলার।
বৈঠকে অপর এক প্রস্তাবে সিঙ্গাপুর মেসার্স গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো (২০২৪ সালের ২৭তম) এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৬৪৯ কোটি ৫৯ লাখ ১৪ হাজার ৮৮০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি দাম পড়বে ১৩.৭৭ মার্কিন ডলার।
স্পট মার্কেট থেকে ক্রয়ের এ আদেশ দেওয়া হয়েছে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) চুক্তির মাধ্যেমে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানির ব্যাপারে ২৩ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টও (এমএসপিএ) সই করা আছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক এম এস গানভোর ও ভিটল এশিয়া, জাপানের জেরা, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেশি এলএনজি আমদানি করা হয়েছে।