আর্দ্র আবহাওয়ায় অত্যাধুনিক লন্ড্রি সমাধান

বাংলাদেশ একটি উচ্চ আর্দ্রতার দেশ। এই আর্দ্রতা বা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব কেবল প্রতি ঋতুতে অস্বস্তি নিয়ে আসে না বরং গৃহস্থালির কাজে কর্মে, বিশেষ করে কাপড় ধোয়া ও শুকানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এ কারণে কাপড় ধোয়া ও শুকানোর সব ধাপ পার করার পরও কাপড়ে থেকে যেতে পারে বাসি গন্ধ বা আরও খারাপ হলে বাসা বাঁধতে পারে ব্যাকটেরিয়া, যার কারণে কাপরের গুণগত মানের ক্ষতি হয়ে থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আর্দ্র বা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে কাপড় রাখলে সেগুলোর মধ্যে সহজেই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সহজেই জন্মাতে পারে। কাপড় নিয়ে প্রায়শই আমাদের এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, বিশেষ করে বর্ষাকালে এটা প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও, কাপড় শুকানোই তো আসল সমস্যা নয়, বরং বাস্তবিক সমস্যা হচ্ছে, মেশিনে কাপড় কতটা ভালোভাবে ধোয়া হচ্ছে, দাগ বা জীবাণু কতোটুকু দূর করা যাচ্ছে এবং কাপড়ের ফেব্রিক ঠিক থাকছে কি-ই না।

বাজারে থাকা অপেক্ষাকৃত পুরাতন মডেলের ওয়াশিং মেশিনগুলো উচ্চ আর্দ্রতায় কার্যকরী সেবা প্রদান করতে পারে না। কাপড়ে থাকা গন্ধ এবং জীবাণুর মূল কারণ দূর করতে এ ওয়াশিং মেশিনগুলোর প্রযুক্তি যথেষ্ট নয়। আর এ কারণেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং স্টিম প্রযুক্তি সম্বলিত নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওয়াশিং মেশিন বাজারে আনা হয়েছে। এই স্মার্ট যন্ত্রগুলো কাপড় ধোয়ার সাথে সাথে কাপরের ধরন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করে নেয় কততুকু পানি প্রয়োজন, ডিটারজেন্ট কি পরিমাণে লাগবে এবং সাইকেলের (ধোয়ার) সময়টা কতখানি হবে, যার ফলে কাপড় একদম নিখুঁতভাবে পরিষ্কার হবে।

এ ওয়াশিং মেশিনগুলোতে স্টিম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত সাধারণ ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যালার্জেন ধ্বংস করতে পারে তেমন কোন রাসায়নিক ছাড়াই। যারা পরিস্কার-পরিছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে বিশেষভাবে সচেতন, তাদের জন্য এই ধরণের অ্যাপ্লায়েন্সগুলো খুবই উপযোগী; বিশেষ করে ছত্রাক প্রবণ স্যাঁতস্যাঁতে এলাকায় যারা থাকেন। কাপড় পরিষ্কারের সময় এই মেশিনগুলো ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কম পানি ব্যবহার করে এবং পুরো প্রক্রিয়াতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সময় সাশ্রয় করে।

এআই প্রযুক্তি থাকা যন্ত্রগুলোতে যুক্ত করা হয়েছে ড্রাইং সাপোর্টের মত আরেকটি যুগান্তকারী ফিচার, তাই বাইরের আবহাওয়া যাই হোক না কেন; বৃষ্টি কিংবা রোদ, কাপড় কিভাবে শুকাবে তা নিয়ে এখন আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই উন্নত ওয়াশিং মেশিনগুলো কাপড়কে গভীরভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়েও দেয়। বর্ষাকালে এক সময় দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো কাপড় শুকানোর জন্য, এখন সেই বিরক্তিকর অপেক্ষা থেকেও মুক্তি দিয়েছে এই নতুন প্রজন্মের ওয়াশিং মেশিন।

এছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদে দক্ষতার সাথে সেবা প্রদানের উপযোগী করে মেশিনগুলো ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মডেল আবার ইনভার্টার মোটরসহ বাজারে আসে, এগুলো ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। স্যামসাংয়েরএই ওয়াশিং মেশিনগুলো আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে টেকসই উপায়ে কার্যকর লন্ড্রি কেয়ার প্রদান করা যায়।

জলবায়ূ আমাদের দেশের মানুষের প্রতিদিনের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তবে, এআই ইকোবাবল প্রযুক্তিসম্পন্ন অত্যন্ত উচ্চ কার্যক্ষমতার এই ওয়াশিং মেশিনগুলো এখানকার মানুষের জীবনযাপনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বুদ্ধিমত্তার সাথে ক্লিনিং, এনার্জি সম্পর্কে সচেতন পারফরমেন্স, সেই সাথে স্টিমের মাধ্যমে জীবাণুমুক্তকরণের এক অনন্য সমন্বয় এই আধুনিক মেশিনগুলো। এই প্রযুক্তি এখন এমন সব সমস্যার সমাধান দিচ্ছে, যা আগের ওয়াশিং মেশিনগুলো দিয়ে করা যেত না।

এআই-চালিত মেশিনগুলোর বদৌলতে কাপর ধোয়া ও শুকানোর প্রক্রিয়া এখন আর আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল নয়, আবার কাপড়ের উজ্জ্বলতাও থাকবে অটুট। নতুন এ প্রযুক্তি কাপড় ধোয়াকে করেছে আরও পরিষ্কার, সুরক্ষিত ও স্মার্ট।