আসছে নির্বাচন, নতুন দল গঠনের হিড়িক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনীতির মাঠে নতুন দল গঠনের হিড়িক পড়েছে। এরই মধ্যে অন্তত ২৪টি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন যে দলগুলো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হয়তো আরও হবে তাদের আদর্শিক ভিত্তি, সমর্থন এবং টিকে থাকার ক্ষমতা অধিকাংশের আছে বলে মনে হয় না। তবে এসব দল মানুষের ভাবনার জগতে কতটা আবেদন সৃষ্টি করছে বা মানুষের মতামতকে প্রভাবিত করতে পারছে সেটাই মুখ্য বিষয়।

নির্বাচন এলেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠন, দল বদল বা জোট গঠনের ইতিহাস বেশ পুরোনো। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।

সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছাতে ব্যস্ত রাজনীতিতে সক্রিয়রা। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও তারা মনে করছেন, এ ধরনের দল মানুষের কতটা কাছে যেতে পারে সেটি নিয়ে তো শঙ্কা আছেই তার সঙ্গে এসব দলের অধিকাংশই নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পাবে কি না সেটি নিয়েও সংশয় আছে।

নতুন এসব রাজনৈতিক দলের প্রায় অর্ধেকের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। তাছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে কয়েকটির৷ আবার ঢাকার বাইরের জেলা থেকে দল গঠনের যেমন উদাহরণ আছে তেমনি রয়েছে বিদেশে বসে ভিডিও কনফারেন্সে দল গঠন ও দলীয় প্রধান হওয়ার নজির।

নতুন এসব রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরের আগস্টে একটি, সেপ্টেম্বরে পাঁচটি, নভেম্বরে চারটি এবং ডিসেম্বর মাসে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। তাছাড়া ২০২৫ সালের শুরুতেই জানুয়ারিতে তিনটি, ফেব্রুয়ারিতে তিনটি, মার্চে দুইটি এবং এপ্রিলে পাঁচটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। অর্থাৎ ৫ আগস্টের পর থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত দল এসেছে ১১টি এবং চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই ১৩টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সব মিলিয়ে এই নয় মাসে নতুন দল এসেছে ২৪টি। আর নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৫৫টি।

গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর এই ৫ মাসে ১১টি দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিবি)
নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিবি) নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে গত বছরের ২৩ আগস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সিদ্দিক হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এসএমডি জিদানের যৌথ উদ্যোগে এ রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। দলটির স্লোগান ‘স্বাধীন হতে স্বাধীন হও’। এটি জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রথম রাজনৈতিক দল।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলটির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত নতুন এ দলের ঘোষণা দেন। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটিতে সাইফুল আলমকে মহাসচিব এবং মীর আমির হোসেন আমুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। তারা জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) থেকে বের হয়ে এসে নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এস এম শাহাদাত জাগপার সাধারণ সম্পাদক, সাইফুল আলম যুগ্ম সম্পাদক এবং মীর আমু যুব জাগপার সভাপতি ছিলেন।

ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন রাজনৈতিক দল ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি’ আত্মপ্রকাশ করে। হাফেজ মাওলানা মাহমুদ আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস হোসাইনকে সদস্য সচিব করে দলটির কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঐদিন ৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ১৪ দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করে দলটি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সবার অধিকার নিশ্চিত করা, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি ও বেকারত্ব দূর করতে ভূমিকা পালনে অঙ্গীকার করে দলটি।

সমতা পার্টি
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ‘সমতা পার্টি’ আত্মপ্রকাশ করে। সমাবেশে হানিফ বাংলাদেশিকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলটির তিনটি মূল লক্ষ্য হচ্ছে, মৌলিক অধিকারের সমতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং উদার গণতন্ত্র।

বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি)
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি)। জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দলটির কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলটির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বকুল হোসেন হৃদয়। কমিটিতে ২০ জন সদস্য রয়েছেন।

সার্বভৌমত্ব আন্দোলন
নির্বাচন বা ক্ষমতার জন্য নয়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও দেশ পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের প্রত্যয় নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল ‘সার্বভৌমত্ব আন্দোলন’। সেদিন জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলটিতে প্রাথমিক পর্যায়ে উপদেষ্টা রয়েছেন সাতজন। তারা হলেন কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, হেলাল উদ্দিন, ফজলুল সাত্তার, ড. মেজর (অব.) সিদ্দিক, লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) তোফায়েল এবং এআইজি (অব.) মালেক খসরু। এছাড়াও সংগঠক ১০ জন ও সহ-সংগঠক রয়েছেন ৮৩ জন।

বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)
গত ১৫ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টির (বিআরপি) আত্মপ্রকাশ ঘটে। অনুষ্ঠানে দলটি ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক লন্ডন প্রবাসী মো. সোহেল রানা। তিনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে দলের পক্ষ থেকে ২৭ দফা ঘোষণা করেন। দলটির স্লোগান ‘সংস্কারেই পরিবর্তন-পরিবর্তনের বাংলাদেশ’।

বাংলাদেশ মুক্তির ডাক-৭১
গত ১৬ নভেম্বর গাজীপুরে আত্মপ্রকাশ ঘটে বাংলাদেশ মুক্তির ডাক-৭১। আল-রিয়াদ আদনান অন্তরকে চেয়ারম্যান, খলিলউল্লাহ গাজীকে মহাসচিব ও হুমায়ুন কবির জয়কে মুখপাত্র করে দলটির কমিটি অনুমোদন করা হয়। দলটির ঘোষণাপত্রে বলা হয়, দেশকে আধুনিক রাজনৈতিক ধারায় অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে তরুণ এবং যুব নেতৃত্ব সৃষ্টি করে জনগণের অধিকারের বৈষম্য দূর করাই মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি
গত বছরের ২৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে৷ দলটিতে প্রকৌশলী ইকরামুল খান চেয়ারম্যান ও আবুল কালাম আজাদ মহাসচিব নির্বাচিত হন। এছাড়া ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের রক্তঋণ শোধ করার অদম্য আগ্রহ, সুস্থধারার রাজনীতি ও সত্যের প্রতি অবিচল-নিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এই দলটির আত্মপ্রকাশ বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি)
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, উন্নয়ন ও শান্তি’ স্লোগান সামনে রেখে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি) আত্মপ্রকাশ করে। গত বছরের ৩০ নভেম্বর গোপালগঞ্জ শহরতলীর চাপাইলের মধুমতি পার্ক চত্বরের একটি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের বিষয়ে জানান দলের নেতারা। দলটিতে চার সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন দলের আহ্বায়ক সাইফুর রশিদ চৌধুরী। তিনি জাসদের (ইনু) গোপালগঞ্জ জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। এসময় তিনি রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে দলের ৩২ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ
মুসলিম জাতীয়তাবাদী নতুন ধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ’। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে জুলাই গণহত্যায় শহীদ নাইমা আক্তারের মা আইনুন নাহার ও দলটির সাংগঠনিক প্রধান মোহাম্মদ শফিউর রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করেন।

চলতি বছরের চার মাসে আরও ১৩টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

দেশ জনতা পার্টি
নতুন বছরের ৪ জানুয়ারি আত্মপ্রকাশ ঘটে দেশ জনতা পার্টির। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ইডিবি ট্রেড সেন্টারের ১১তলায় এ দলের ঘোষণা করেন দলটির প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির। দলটির ১০৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে চেয়ারম্যান করা হয় মো. নূর হাকিমকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় ইদ্রিস আলী নান্টুকে।

আমজনতার দল
গত ২৮ জানুয়ারি গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নাম বদলে ‘আমজনতার দল’ করা হয়। পুরানা পল্টনে প্রীতম জামান টাওয়ারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নতুন নামে দলের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন দলটির আহ্বায়ক মশিউজ্জামান। ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে নিজেদের দ্বন্দ্বে দলটি দুই ভাগ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে সরে যান রেজা কিবরিয়া। গণঅধিকার পরিষদের একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন নুরুল হক নুর ও রাশেদ খান। অপর অংশটি চলছিল মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে। তবে ফারুক হাসান পরে নুরুল হক নুরের দলে যোগ দিলে মশিউজ্জামান একা হয়ে যান। এরপরই নতুন এই দলের ঘোষণা এলো।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি
গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি’ নামে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সময় দলটি তাদের কার্যাবলী ও লক্ষ্য তুলে ধরে। দলটির আহ্বায়ক মেজর জেনারেল (অব.) মো. এহতেশাম উল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য আশা ও ন্যায়বিচারের বাতিঘর হিসেবে এ নতুন দল আত্মপ্রকাশ করেছে।’ দলের কার্যাবলী ও লক্ষ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি জাতি গঠন করবো যা আমাদের পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন পূরণ করবে।

বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টি
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টির’ আত্মপ্রকাশ হয়। এতে ইসমাইল সম্রাট চেয়ারম্যান ও ব্যারিস্টার ওমর ফারুককে সাধারণ সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন জাতীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই দিনের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক শফিকুর রহমান, সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত রায় চৌধুরী। এছাড়া সম্মেলনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএসডিপি)
‘নতুন সমাজ সমৃদ্ধ দেশ, হোক জনগণের বাংলাদেশ’ স্লোগানে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা করেন দলটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. বিভূতি রায়। নতুন এই দলটির মহাসচিব হয়েছেন মাহবুব সুমন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। দলের নাম ঘোষণা করেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ মো. ইসমাইল হাসান রাব্বির বোন মিম আক্তার।

মিম আক্তার বলেন, আপনাদের মনে আছে- গত ৫ আগস্ট দুই বোনের কাঁধে ভাইয়ের লাশ; সে দুই বোনের মধ্যে আমি একজন। ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটে নাই। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা করছি।

এসময় তিনি আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করেন।

জনতার বাংলাদেশ পার্টি
গত ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জনতার বাংলাদেশ পার্টি’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে৷ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আইনজীবীরা। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খানকে চেয়ারম্যান ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে মহাসচিব করে দলটির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব বলেন, সারা বিশ্বে যখন আইনজীবীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যোগ্যতা ও মেধার তীব্র প্রতিযোগিতা হচ্ছে, রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন, তখন বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণে জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের তারুণ্যে, জাগরণে উচ্ছ্বাসিত হয়ে একঝাঁক আইনজীবীদের উদ্যোগে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দল গঠনে প্রলুব্ধ হয়ে সততা, নীতি, আদর্শ ও ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে আইনজীবীরা দেশের পক্ষে, মানুষের পক্ষে দাঁড়াবে।

জনতার দল
সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতার দল’। দলটির চেয়ারপারসন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল। গত ২০ মার্চ দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলটির সদস্য সচিব আজম খান এবং দলের মুখপাত্র জাতিসংঘে কাজ করে আসা সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক লেখক ডেল এইচ খান।

দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলটির চেয়ারম্যান মো. শামীম কামাল বলেছিলেন, আমরা বাম বা ডান দিকে তাকাবো না। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা ইতিহাসের অমীমাংসিত বিষয়গুলোতে যুক্ত হবো না, আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই।

গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি
গত ১১ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়। দলটির চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ফরাজী আগে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর আব্দুল মালেক ফরাজীকে গণঅধিকার পরিষদের (ড. রেজা কিবরিয়া) যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।

নিজ দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আব্দুল মালেক ফরাজী বলেছিলেন, কারও দালালি করার জন্য তিনি দল গঠন করেননি। দেশ রক্ষার জন্য যারা রাজনীতি করেন, তাদের সঙ্গে তিনি থাকবেন।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেন খান একটি ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান। সেখানে তিনি বলেন, দেশে নানা ক্ষেত্রে সৃষ্টি হওয়া বহুস্তরবিশিষ্ট বৈষম্য লাঘব করে বাংলাদেশকে মানবিক উন্নয়নের প্রগতিশীল ধারা স্থাপনে দলটি কাজ করবে।

ভাসানী জনশক্তি পার্টি
ভাসানী অনুসারী পরিষদ থেকে ভাসানী জনশক্তি পার্টি নামের রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয় গত ১৩ এপ্রিল। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিনিধি সম্মেলনে দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর অংশ) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার। নতুন এই দলটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে ২১ সদস্যের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়। দলটির ১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান, ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন মহাসচিব, পাঁচজন যুগ্ম মহাসচিব, আটজন সাংগঠনিক সম্পাদক, আটজন সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সম্পাদকীয়, সহসম্পাদকীয় ও সদস্য পদ।

বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি (বিএজেপি)
ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে দলটি। এসময় ২৯৭ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

জনতা পার্টি বাংলাদেশ
‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে গত ২৫ এপ্রিল। দলটির চেয়ারম্যান নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। মহাসচিব হয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। দলটির স্লোগান ‘গড়বো মোরা ইনসাফের দেশ’। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দলটির ২৭ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কমিটি অনুযায়ী ইলিয়াস কাঞ্চন চেয়ারম্যান। নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র গোলাম সারোয়ার মিলন। ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল হক হাফিজ, ওয়ালিউর রহমান খান, রেহানা সালাম, মো. আবদুল্লাহ, এম এ ইউসুফ ও নির্মল চক্রবর্তী।

বাংলাদেশ নতুনধারা জনতার পার্টি
সবশেষ গত ২৬ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ নতুনধারা জনতার পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। রাজধানী সেগুনবাগিচার তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে এক অনুষ্ঠানে দলটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই দলের আহ্বায়ক মুহাম্মাদ আবদুল আহাদ নূর ও সদস্যসচিব মামুনুর রশীদ মামুন। এসময় ৩৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে দলের পদসংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, সর্বোচ্চ পরিষদ, ঢাকা মহানগর, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন, গ্রামসহ দেশব্যাপী কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেবে দলটি।

বিগত নির্বাচনে যেসব রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছিল
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে ১১৭টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই-বাছাইয়ে পর ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন সে সময় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এ দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সে সময় নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। কে এম নূরুল হুদা কমিশন নানা কারণে সবার আবেদন বাতিল করেছিল। পরবর্তী সময় আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ৯৩টি আবেদন জমা পড়ে।

২০২৫ সালে নতুন করে দল নিবন্ধনের জন্য গত ১০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। গত ২০ এপ্রিল ছিল নিবন্ধনের আবেদনের শেষ দিন। ঐদিন পর্যন্ত ৬৫টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। এছাড়া ৪৬টি দল নিবন্ধনের আবেদন বাড়ানোর দাবি জানায়। পরে ইসি আগামী ২২ জুন পর্যন্ত নিবন্ধনের আবেদন করা যাবে বলে জানায়। ধারণা করা হচ্ছে এই অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে আরও বেশ কিছু দল নিবন্ধনের আবেদন করবে।

রাজনৈতিক দল গঠন করলে কী লাভ?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম আলী রেজা মনে করেন, নতুন দল গঠন করা এবং ভাঙা পলিটিক্যাল সিস্টেমে নতুন কিছু না। গণতান্ত্রিক একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এটা হতে পারে। উপমহাদেশে জোটের রাজনীতি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন থেকে যাত্রা শুরু করে। সে সময় রাতারাতি নিজামী ইসলাম, গণতন্ত্রী দল, কৃষক শ্রমিক পার্টি গঠিত হয়। তবে এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অনেকে ভুঁইফোঁড়, নামসর্বস্ব দল গঠন করছে সংবাদ সম্মেলন করে। এখন মূল বিষয়টি হলো, এই ধরনের দলগুলো মানুষের ভাবনার জগতে কতটা আবেদন সৃষ্টি করছে। মানুষের মতামতকে প্রভাবিত করতে পারছে কি না সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

অধ্যাপক ড. এস এম আলী রেজা বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা৷ দলের অন্যতম শর্ত হচ্ছে আদর্শিক একটা ভিত্তি থাকতে হয়৷ নতুন যে দলগুলো তৈরি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হয়তো আরও হবে তাদের যে আদর্শিক ভিত্তি, সমর্থন ভিত্তি এবং টিকে থাকার ক্ষমতা অধিকাংশের আছে বলে আমার মনে হয় না।

ড. রেজার মতে, এই দলগুলো ওয়ার্কিং পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে তখনই দৃশ্যমান হবে যখন নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পাবে। তবে এই দলগুলোর অনেক বড় একটা অংশ হয়তো সেই সুযোগ পাবে না।

ছোট ছোট দলগুলো তাদের ‘বার্গেনিং কস্ট’ বাড়াতে চায় উল্লেখ করে অধ্যাপক এস এম আলী বলেন, বড় দলগুলোর মধ্যেও এ ধরনের প্রবণতা আছে যে ছোট ছোট দলগুলোকে লুফে নেয়। কারণ বড় দলগুলো মনে করে তাদের সঙ্গে ১০টা বা ১৫টা দলের একটি জোট আছে। এই নম্বরগুলো অনেক সময় একটা ইমেজ বা চাঞ্চল্য তৈরি করে। আবার এখানে ছোটখাটো কিছু প্রাপ্তির বিষয় থাকে। জোটের দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে কিছু পোর্টফলিও এবং ‘পলিটিক্যাল পর্ক ব্যারেল’ প্রাপ্তির বিষয় থাকে। এটা পাওয়া না পাওয়ার একটা সংগ্রাম।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক বলেন, এই যে দলগুলো গঠন হয় তাদের আকাঙ্ক্ষা থাকে, কী পাবো, কতটুকু পাবো, কখন পাবো। সেটা পরিচিতি হতে পারে, সম্মান হতে পারে, পদ হতে পারে যেগুলোকে একসঙ্গে বলছি ‘পলিটিক্যাল পর্ক ব্যারেল’।