ঈদের দ্বিতীয় দিনেও বাড়ি ফিরছেন অনেকে

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনও রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। ঈদের দিন ছুটি না পেয়ে অনেকে আজ ঘরে ফিরছেন। যে কারণে বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া ও ফকিরাপুল বাস টার্মিনাল ঘুরে ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রিয়জনের সঙ্গে অন্তত ঈদ পরবর্তী আনন্দ ভাগ করে নিতে হলেও বাড়ি ছুটছেন অনেকে। ঘরমুখো এসব মানুষের বেশিরভাগ ব্যাচেলর কিংবা এককযাত্রা দেখা গেছে।

মালিবাগ থেকে খুলনাগামী যাত্রী আলী আহসান বলেন, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ঈদের দিন ছুটি পাইনি। খুব ইচ্ছা ছিল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করবো। সেটা আর হয়ে ওঠেনি। আজ ছুটি নিয়ে মায়ের কাছে যাচ্ছি। মা তো সবসময় অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু চাকরি করলে তো চাইলেও হুট করেই যেতে পারি না। আজ যাচ্ছি। ঈদ না পেলেও মাকে দেখে আসবো এই শান্তি।

বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী নুর ইসলাম বলেন, জরুরি কাজে বাড়ি যাচ্ছি। ভেবেছিলাম এবার ঈদে বাড়ি যাব না। কিন্তু হঠাৎ চাচাতো বোনের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছে। তাই যেতেই হচ্ছে। পরিবার নিয়ে ঈদ করার সুযোগ না পেলেও বিয়ের উসিলায় পরিবার ও আত্মীয়দের সবার সঙ্গে দেখা হবে।

ফরিদপুরগামী যাত্রী তাকসিম বিল্লাহ বলেন, ঢাকায় বিভিন্ন ঝামেলায় ছিলাম। ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। আজ বাড়ি গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেব।

কোটালীপাড়া স্টার এক্সপ্রেসের বাসের টিকিট বিক্রেতা হাসান আহমেদ বলেন, ঈদের ট্রিপ তো শেষ। এখন যাত্রী খুব একটা নেই। অনেকেই জরুরি কাজে বাড়ি যায়। কেউ আছে ব্যাচেলর থাকে তারা যায়। যেহেতু রাস্তায় যাত্রী কম সেহেতু আমরা অল্প কিছু গাড়ি ছাড়ছি। দুই একদিন পর মানুষ শুধু আসবে। তখন আবার কোচ বাড়ানো হবে।

টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস বাসের সুপারভাইজার বাবুল বলেন, যাত্রী আছে ভালোই। আমাদের সব সেবা চালু আছে। এমন টুকটাক চাপ থাকবে।

তিনি বলেন, ঈদে অনেকের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই। এখন সব জায়গায় ঠিকঠাক ভাড়া চলছে।