ঈদ উপলক্ষে টিসিবির ৬৯০ ট্রাকে দেশজুড়ে পণ্য বিক্রি শুরু

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী সর্বসাধারণের কাছে প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত।

এর মধ্যে ঢাকায় ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি, ৬টি বিভাগীয় শহরে ১০টি করে এবং ৫৬টি জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হবে।

এসব ট্রাকে ভোজ্যতেল, চিনি ও মশুর ডাল বিক্রি করা হবে। টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম শুক্রবার ও ছুটির দিনও চালু থাকবে।

এর পাশাপাশি নিম্ন আয়ের স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল, চিনি ও মশুর ডাল) বিক্রির কার্যক্রম চালু আছে।

তবে ঈদুল আজহার আগে অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়েছে তেল, ডাল ও চিনির দাম। একমাস ব্যবধানে প্রতি লিটার তেলে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগে যেখানে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ১০০ টাকা লিটারে তেল বিক্রি করা হতো সেটা এখন ১৩৫ টাকা, ডালের দাম ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা ও চিনির দাম ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ টাকা করা হয়েছে।

স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি যেকোনো সাধারণ ভোক্তা ঈদের পণ্য কিনতে পারবেন বিশেষ ট্রাকসেলে। তবে সবক্ষেত্রেই গুণতে হবে বাড়তি টাকা।

টিসিবি জানিয়েছে, দেশব্যাপী প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ওইসব পণ্য বিক্রি হবে। ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল থাকবে প্রতিটি ট্রাকে।

এদিকে দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিসিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার টিসিবির পণ্য বিক্রিতে বড় ভর্তুকি দিচ্ছে। সে খরচ কমাতে দাম কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। সে বাড়তি দামও সমন্বয় করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ কার্যক্রমের পাশাপাশি যেকোনো ভোক্তার কাছে সারাদেশ প্রতিদিন ৬৯০ টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি বিক্রি হবে। ঢাকায় ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি, ছয়টি বিভাগীয় শহরে ১০ টি করে অবশিষ্ট ৫৬ জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাক থাকবে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম ২২ মে থেকে শুরু হয়ে ৩ জুন পর্যন্ত (শুক্রবার ও ছুটির দিনসহ) চলমান থাকবে।