উৎপাদনে ফিরেছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট উৎপাদনে ফিরেছে। যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত শেষে গতকাল ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি চালু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিটটি চালু হয়। এতে মোট ২৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সাল থেকে ওভার হোলিং কাজের জন্য দ্বিতীয় ইউনিটটি বন্ধ হয়ে রয়েছে। চায়না কোম্পানি ইউনিটটির ওভার হোলিং কাজ শেষ করতে পারেনি। আর প্রথম ইউনিটটি ৬ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। তৃতীয় ইউনিটটিও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১ মাস ৬ দিন বন্ধ ছিল। ত্রুটি সারিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর সচল করা হলেও পুনরায় বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে ৯ সেপ্টেম্বর ৬টা ৬ মিনিটে তৃতীয় ইউনিটটি আবারো বন্ধ হয়ে যায়। এর সঙ্গে সঙ্গে পুরো তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটির সঞ্চালন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের দায়িত্বে নিয়োজিত চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারভিন ইন্টারন্যাশনালের প্রকৌশলীদের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী দফায় দফায় বৈঠক করে কেন্দ্রটি সচল করার উদ্যোগ নেন। যান্ত্রিক ত্রুটি সারাতে চায়না থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং পণ্য বিমানযোগে বাংলাদেশে আনা হয়।

এরপর চীনা ও বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩২ মিনিটে প্রথম ইউনিটটিটি সচল হয়। আর গতকাল দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে তৃতীয় ইউনিটটিও চালু হয়েছে।

প্রকৌশলীরা জানান, বর্তমানে সচল হওয়া দুটি ইউনিট থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ২৮৫ মেগাওয়াট। এতে উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিং কমে আসবে। অবশিষ্ট ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল রাখতে ব্যয় হচ্ছে।