একদিন পিছিয়ে ৬ মে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার তারিখ একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ মের পরিবর্তে ৬ মে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন তিনি।

শনিবার (৩ মে) রাত সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান

তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিএনপি মহাসচিবের নির্দেশে আমাদেরকে জানিয়েছেন, ম্যাডাম ৫ মে লন্ডন থেকে রওয়ানা হয়ে ৬ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন।

তিনি আরও বলেন, কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন।

এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাধারণ একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন। পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দল।

তবে শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া চার মাস যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি অনেকটা সুস্থবোধ করছেন। তাই তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে কাতারের রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই দেশে ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সবার আবেগ আছে, সবাই উচ্ছ্বসিত। খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা দিতে প্রস্তুত সবাই।

এ সময় বেগম জিয়ার আগমন ও অভ্যর্থনার জন্য বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত রাস্তা এড়িয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। 

তথ্যসূত্র বলছে, খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। তবে তিনি কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

এরপর এ বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।