অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে জিম্বাবুয়ের মাটিতে দুই ফরম্যাটের সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। যেখানে বাবর আজম, নাসিম শাহ ও শাহিন আফ্রিদিরা ছিলেন না। যদিও উভয় সিরিজ জিততে কোনো বেগ পেতে হয়নি রিজওয়ান-সালমান আগাদের। তবে আলোচনা ছিল বাবর-শাহিনদের অনুপস্থিতি নিয়ে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পূর্ণ তিন ফরম্যাটের সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে পিসিবি। দলে ফিরেছেন বাবর-নাসিম ও শাহিন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক ছিলেন স্পিনার সাজিদ খান। তার জায়গা মেলেনি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই টেস্টের স্কোয়াডে। এ ছাড়া ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে থাকলেও, শাহিন টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন। আসন্ন সিরিজে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হবে। টি-টোয়েন্টি দিয়ে ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সফর চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ইংল্যান্ড সিরিজে দাপুটে পারফর্ম করা সাজিদ খান ও নোমান আলি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে না থাকার পেছনে অবশ্য যুক্তি আছে। ঘরের মাঠে তার স্পিন ট্র্যাকে খেললেও, সম্পূর্ণ ভিন্ন পিচে প্রোটিয়াদের মাটিতে খেলতে হবে বাবর-রিজওয়ানদের। ইংল্যান্ড সিরিজে শেষ দুই টেস্টের চার ইনিংসে স্পিনাররা ৪০টি উইকেটই নিয়েছিলেন। সাজিদ নেন ১৯ উইকেট। তবে পুরো প্রোটিয়া সিরিজের জন্য পাকিস্তান কেবল এক বিশেষজ্ঞ স্পিনার আবরার আহমেদকে নিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, স্বাগতিকদের মতো পেস দিয়েই তারা অল-অ্যাটাকে যেতে চাইবে।
এদিকে, টেস্ট স্কোয়াড থেকে শাহিনের বাদ পড়া হয়তো কোনো ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর তিনি বাদ পড়েন লাল বলের স্কোয়াড থেকে। বাবর-নাসিমরাও অবশ্য তার মতোই বাদ পড়েন সেই সিরিজে, তবে প্রোটিয়ারদের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটেই থাকছেন এই দুই তারকা। ২০২২ সালে হাঁটুর ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার পর টেস্টে ধার কমেছে শাহিনের। এরপর ৬টি টেস্টে ৪৫.৪৭ গড়ে তিন ১৭টি উইকেট নিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাকিস্তানের স্কোয়াড
টেস্ট : শান মাসুদ (অধিনায়ক), সৌদ শাকিল, আমির জামাল, আবদুল্লাহ শফিক, বাবর আজম, হাসিবুল্লাহ, কামরান গুলাম, খুররম শেহজাদ, মির হামজা, মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ রিজওয়ান, নাসিম শাহ, নোমান আলি, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা।
ওয়ানডে : মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), আবদুল্লাহ শফিক, আবরার আহমেদ, বাবর আজম, হারিস রউফ, কামরান গুলাম, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা, শাহিন শাহ আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম, তৈয়ব তাহির, উসমান খান।
টি-টোয়েন্টি : মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, বাবর আজম, হারিস রউফ, জাহানদাদ খান, মোহাম্মদ আব্বাস আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ ইরফান খান, ওমাইর বিন ইউসুফ, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা, শাহিন শাহ আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম, তৈয়ব তাহির, উসমান খান।