এক টেবিলে বসছে বাংলাদেশ-ভারত-চীন ও মিয়ানমার

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিতে ৬ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে বৈঠকের আয়োজন করেছে থাইল্যান্ড। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ব্যাংককে অনুষ্ঠ্যেয় বৈঠকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, চীন, লাওস ও কম্বোডিয়াকে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মিয়ানমারের উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সীমান্তবর্তী দেশগুলোর করণীয় নিয়ে এই জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেছে থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ওই বৈঠকে যোগ দেবেন।

বাংলাদেশ, মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দিলেও এখনও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি ঢাকা পোস্ট। তবে শেষ পর্যন্ত চীনের পক্ষে দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বলছে সূত্রটি।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মূলত মিয়ানমারের পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। মিয়ানমারের চলমান অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে মানবপাচার, চোরাচালান, মাদকসহ নানাবিধ অপরাধ বেড়ে চলেছে। এসব বিষয় আলোচনায় থাকবে ব0লে ধারণা করছি।

ব্যাংককে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা না হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি বিশেষ করে, সম্প্রতি আরাকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ২৭০ কিলোমিটার এলাকা দখল নিয়েছে তার বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে চীন আন্তরিক বলে উপদেষ্টাকে বার্তা দেন রাষ্ট্রদূত। তারা আসন্ন ব্যাংকক বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

১০ ডিসেম্বর রোহিঙ্গা সংকট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মধ্যে বৈঠকে হয়। সেখানে ব্যাংকক বৈঠক নিয়ে তারা গুরত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে একটি সূত্র।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ২৭০ কিলোমিটার এলাকা দখল নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা আরাকান আর্মি। এছাড়া, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মংডুর সেনা ঘাঁটি দখলে নিয়ে ১৬৮ মাইল এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দেশটির আরাকান আর্মি।