এনবিআরে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তর ঘেরাও করে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন আয়কর এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অনুবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজস্ব ভবনে এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন তারা। বিকেলে তারা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজস্ব নীতি পৃথককরণ অধ্যাদেশ ইস্যুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের শতাধিক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা পৃথক করার খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে অসন্তোষ শুরু হয় আগেই। ট্যাক্স ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের অভিযোগ, যেভাবে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তাতে রাজস্ব নীতির নিয়ন্ত্রণ কার্যত প্রশাসন ক্যাডারদের হাতেই চলে যাচ্ছে।

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করার লক্ষ্য ছিল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আধুনিকীকরণ, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা এবং স্বাধীন পরিচালনার মাধ্যমে একে আরও টেকসই করা। গেজেট জারি হওয়ার পর এই অধ্যাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি নতুন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করবে-রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ। তবে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, খসড়াটি মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে যেতে পারে। ফলে দুর্বল হয়ে যেতে পারে সংস্কার প্রক্রিয়া।

রাজস্ব সংস্কার কমিটি পৃথকীকরণের বিষয়ে যে সুপারিশ করেছে, তা খসড়ায় ব্যাপকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা ও কমিটি সদস্য। কর ও কাস্টমস ক্যাডারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, অর্থনীতি ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাদারদের নীতিনির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল সংস্কার কমিটি। কিন্তু খসড়ায় এই সুপারিশকে উপেক্ষা করায় নীতি ও ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা প্রশাসন ক্যাডারদের হাতেই থেকে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তারা।