২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে একটি ব্যতিক্রমী, অসংগতি কমানোর এবং অপচয় কমানোর বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি এ বাজেটকে একটি ব্যতিক্রমী বাজেট বলব। এটা অসংগতি কমানোর বাজেট, অপচয় কমানোর বাজেট। আমরা জ্বালানি বিভাগ থেকে এলপিজি গ্যাসের দাম কমানোকে সমর্থন করছি।
আরও পড়ুনঃ এবারের বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব : অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, আমরা সড়ক বিভাগ থেকে চাঁদাবাজিকে সীমিত করার চেষ্টা করছি। আজকেই খবর পেয়েছি যারা গ্রামে বাড়ি যাচ্ছেন, তাদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আমরা সাথে সাথে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, আগের থেকে এখন মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে আমরা এখন সরকার হিসেবে কাজ করছি, একসাথে কাজ করছি। অনেকগুলো টেমপ্লেট হয়েছে। সবাই মিলে চেষ্টা করছি এসব টেমপ্লেটগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে।
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য বিমান বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের প্রধানরা।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে। অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ হিসাবে নেওয়া হবে ৯৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে যা আছে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
আসন্ন বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধার নিতে চায় ব্যাংক খাত থেকে, যার পরিমাণ ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা। এরপর সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।