এ-চালান হলো অটোমেটেড চালান (Automated Challan) সিস্টেম, যা সরকারি বিভিন্ন ফি ও রাজস্ব অনলাইনে পরিশোধ করার একটি পদ্ধতি। এটি সরকারের অর্থ বিভাগ কর্তৃক ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে, যে কেউ ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ ইত্যাদি) বা ব্যাংক শাখা থেকে অর্থ জমা দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এ-চালান সংগ্রহ করতে পারে।
এ-চালান মূলত একটি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে, যা ব্যবহার করে সরকারি কোষাগারে সরাসরি অর্থ জমা দেওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে সরকারি বিভিন্ন ফি, যেমন- পাসপোর্ট ফি, ট্যাক্স, ভ্যাট ইত্যাদি অনলাইনে পরিশোধ করা যায়। ভবিষ্যতে, সকল সরকারি ফি ও সেবার জন্য এই পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ-চালান ব্যবহারের সুবিধা হলো:
দ্রুত ও সহজে সরকারি ফি পরিশোধ করা যায়।
লাইনে দাঁড়িয়ে অর্থ জমা দেওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সময় এবং শ্রম সাশ্রয় হয়।
বর্তমানে, এ-চালান ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ জমা দেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে:
ইন্টারনেট ব্যাংকিং
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড
বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট, এমক্যাশ, ট্রাস্টপে ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা
দেশের ৬১টি ব্যাংকের ১১,৭০০ শাখা থেকে চেক ক্লিয়ারিং বা একাউন্ট ডেবিট এর মাধ্যমে
এ-চালান বর্তমানে পাসপোর্ট, আয়কর এবং সীমিত কিছু সেবার জন্য ব্যবহার করা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ১ ও ২ জুলাই প্রশিক্ষণের পর ৩ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতিতে শুল্ক-কর আদায় শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে ৭৫টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ১৩ কোটির বেশি টাকার রাজস্ব সরাসরি কোষাগারে জমা হয়। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল কমলাপুর আইসিডিতে এবং পরবর্তীতে পানগাঁও কাস্টম হাউসে এ পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ৭ জুলাই থেকে ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস স্টেশনেই এ-চালান সিস্টেম চালু হবে। এনবিআর মনে করে, এই উদ্যোগ রাজস্ব আহরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে, পণ্য খালাসের গতি বাড়াবে এবং সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা নিয়ে আসবে।