কঠিন হচ্ছে কানাডায় কর্মসংস্থান

আগামীতে প্রবাসীদের জন্য কানাডায় বসবাস এবং কর্মসংস্থান কঠিন হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডায় বসবাসরত প্রবাসীদের অস্থায়ী চাকরির সুবিধা তুলে নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৬ আগস্ট) ট্রুডো দেশটির সংসদে দেয়া এক বক্তব্যে বর্তমান কানাডিয়ান সরকারের এসব মনোভাব ব্যক্ত করেন।
এতদিন কানাডায় প্রবাসীরা নানান সুবিধা পেলেও আগামীতে এসব সুবিধা বহাল থাকবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রুডো। বিশেষ করে নিম্ন মজুরিতে যেসব প্রবাসী দেশটিতে অস্থায়ী চাকরি করছেন তাদেরকে আগামীতে এ ধরণের কর্ম সুযোগ দেয়া হবে না বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
দেশটির ফেডারেল বিভাগের পরিসংখ্যানে হিসাব অনুযায়ী, গত এক বছরে কানাডার জনসংখ্যা বেড়েছে ৯৭ শতাংশ। বৃদ্ধি পাওয়া এ জনসংখ্যার সিংহভাগই অভিবাসী।
অভিবাসীদের চাপে স্থানীয় কানাডিয়ানরা চাকরি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। গত দুই মাসে কানাডার বেকারত্বের হার বেড়ে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে বেকার জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ।
এ ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, কানাডিয়ানরা চাকরি পাচ্ছেন না এটি যেমনি মেনে নেয়া যায় না, অন্যদিকে প্রবাসীদের অসহায়ত্ব কাজে লাগিয়ে তাদের অল্প বেতনে অস্থায়ী চাকরিতে বাধ্য করাও কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য না।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডায় যেসব প্রবাসীকে অস্থায়ী চাকরি দেয়া হয়, তা একরকমের দাসত্বের সামিল। নিয়মানুযায়ী, কানাডার এসব অস্থায়ী চাকরির পদে কানাডিয়ানদের না পাওয়া গেলে তখন বিদেশি কর্মীদের সুযোগ দেয়ার কথা। কিন্তু সস্তায় প্রবাসী কর্মী পাওয়ায় কানাডিয়ানদের চাকরি না দিয়ে প্রবাসীদের অবৈধভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
দেশটির গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কানাডায় প্রবাসী অস্থায়ী কর্মজীবীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮২০ জন, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৮৮ শতাংশ বেশি।
নিজেদের নাগরিকদের সুযোগ দিতে এবারই প্রথম প্রবাসী কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কানাডা। আগামী মাসেই নতুন এ সিদ্ধান্ত বলবৎ হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।